নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়ের ধর্ষক বাবাকে গ্রেফতারে হন্যে হয়ে খুজছে পুলিশ। মামলা দায়েরের পর গত ৫দিনেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। গ্রেফতার এড়াতে মামলায় অভিযুক্ত বাবা আÍগোপনে রয়েছেন।
জানা যায়, ১৬ বছর বয়সী নিজ মেয়েকে আটকে রেখে লাগাতার দুই মাস ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে বড়ইাগ্রাম বড়াইগ্রাম পৌরশহরের গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা। পরের দিন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের সংবাদ শুনেই পালিয়ে যায় শরিফুল ইসলাম। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম সাধক ফকির-তরিকায় সন্নাসীব্রত হলে গত দুই বছর আগে স্ত্রী রেখা তাকে ছেড়ে অন্য একটি এলাকায় বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর
মেয়েটি নানার বাড়িতে মানুষ হচ্ছিলেন। গত কোরবানির ঈদের ৬ দিন আগে ল¤পট শরীফুল বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে বড়াইগ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং জোরপূর্বক আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি এ ঘটনা দাদা ও দাদীকে জানালেও এতে কোন লাভ হয়নি । বাড়িতে কোন লোকজন এলে তার সাথে দেখা বা কথা বলতেও দিতো না এই পরিবারের সদস্যরা। পরে মেয়েটি তার নানীকে ঘটনা খুলে বললে মেয়েটির মা ও নানী গত সোমবার বড়া¥ইগেয়রামে গিয়ে
মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও থানায় মামলা দায়ের করে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শলিফুল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।