বান্দরবানের আলীকদমে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও বজ্রপাতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান কমাতে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার এস এম কাইছার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫ হাজার তালের বীজ রোপনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করা গেলে আরো প্রয়োজনীয় পরিমান তাল বীজ সরবরাহ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এই ধারাবাহিকতায় আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫ হাজার তালের বীজ রোপন করেছে। মঙ্গলবার এই কর্মসূচী অংশ হিসেবে আলীকদম উপজেলার ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের ভুজির মূখ এলাকায় এসব তাল বীজ রোপন করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লামা সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরে আলম হাফিজ, লামা বন বিভাগের আওতাধীন তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ মিনার চৌধুরী, আলীকদম প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান মাহমুদ প্রমূখ।
এসময় বন কর্মকর্তা কউছার বলেন, বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে বেশি পরিমানে ক্ষয় খতি হচ্ছে। প্রতিনিয়তই লোজন মারা যাচ্ছে। তাল গাছ এমন একটি গাছ, এটি বজ্রপাতকে টেনে নিয়ে দুর্বল করে দেয়। যার ফলে ক্ষয় খতির পরিমান অনেকাংশে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পাহাড়ি অঞ্চলে তালের বিস্তার অনেক কম। তালের বিস্তার ঘটানোটাও আমার একটি উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ তাল বীজ রোপন করতে চায় তাহলে আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে চারা সরবরাহ করবো।
উল্লেখ্য বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত আলীকদম-ফাসিয়াখালী সড়কের দুধারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর রোপন কৃত দুর্বল প্রজাতীর রোইনট্রি স্থানীয় বিদ্যুৎ সংযোগের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে আসছে। স্থানীয় সংবাদিকরা এসব গাছ নিলামে বিক্রয় করে তাল জাতীয় গাছ রোপনের জন্য লেখালেখি করলেও কোন কাজে আসেনি। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে একাধিকবার এসব গাছ নিলামের জন্য চিঠি লিখা হয়েছে বলে তৎকালীন ইউএনওরা জানিয়েছেন।