ইয়ানূর রহমান : ভারত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বাংলাদেশে
রফতানি হলেও দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আসেনি। ভারতের
পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আটকে থাকা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট
(এলইও) করা না থাকায় বেনাপোল বন্দরে কোনো ট্রাক আসতে পারেনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর
রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া পেঁয়াজের একটি অংশ ভারত সরকার ছেড়ে
দেওয়ার সম্মতি দিলেও শনিবার বেনাপোলে কোনো ট্রাক আসেনি। কবে নাগাদ আসবে,
তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি ওপারের রফতানিকারক-সংশ্লিষ্টরা।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস
অ্যান্ড কাস্টম কর্তৃপক্ষ (সিবিআইসি) যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তারপর শনিবার
সকালে পেট্রাপোল কাস্টমসকে তারা আরো একটি নির্দেশনা দিয়েছে। ওই
নির্দেশনায় বলা হয়েছে গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বন্দর এলাকার যে সব
পেঁয়াজের ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট (এলইও) করা ছিল শুধু সেই ট্রাকগুলো
বাংলাদেশে যাবে।
এ সময় পেট্রাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পাঁচটি পেঁয়াজের ট্রাক ছিল। এর মধ্যে
একটি ট্রাকের এলইও করা ছিল। পেঁয়াজে পচন ধরায় বৃহস্পতিবার (১৭
সেপ্টেম্বর) রফতারিকারক সেই পেঁয়াজের এলইও বাতিল করেন। এতে পেট্রাপোল
বন্দরে এলইও করা কোনো পেঁয়াজের ট্রাক না থাকায় শনিবার ভারত থেকে বেনাপোল
বন্দরে কোন পেঁয়াজের ট্রাক আসেনি।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধে ভারতের আদেশ
প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানানোর পর আগের ঋণপত্রের (এলসি) পেঁয়াজ
বাংলাদেশে রফতানির নির্দেশনা দিয়ে শুক্রবার রাতে বন্দর ও কাস্টমসহ
বিভিন্ন দফতরে পত্র দেয় সেদেশের সিবিআইসি। সেই পত্রে বলা হয়, ১৪
সেপ্টেম্বর ভারতের সব শুল্ক স্টেশন/কাস্টমসে নির্দেশনা দেওয়া হয়
বাংলাদেশে ৭৫০ মার্কিন ডলারের নিচে পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে না।
বাংলাদেশের আমদানিকারকদের দাবি ও সরকারি তৎপরতায় ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের
রফতানিকারকরা পেঁয়াজ রফতানির আবেদন জানান। তারই পেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর
পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় শুল্ক অধিদপ্তর। তবে শনিবার
সকালে ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দর এলাকার যে সব পেঁয়াজের ট্রাকের লোড এক্সপোর্ট
(এলইও) করা ছিল শুধুমাত্র সেই ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যাবে- এমন নির্দেশনা
দেওয়ার পর নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, নতুন করে এলইও করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে
নতুনভাবে এলইও করার পর সেটি কার্যকর হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি
কার্তিক চক্রবর্তী।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম হাউজের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আকসির
মোল্লা জানান, নিয়মানুযায়ী ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে
প্রবেশের সময় কাস্টমস থেকে গেট পাশ নিতে হয়। সকাল থেকে ভারতীয়
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের পক্ষ থেকে কোনো গেট পাশ গ্রহণ না করায় শনিবারও
পেঁয়াজের কোনো চালান আসেনি বেনাপোল বন্দরে। কবে আসবে তা নিশ্চিত করে বলা
যাচ্ছে না