মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কনিষ্ঠ পূত্র আবুবকর খান ভাসানীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১১টায় একটি শোক র্যালী টাঙ্গাইল শহরস্থ সন্তোষ বাজার প্রদক্ষিণ করে তাঁর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর ‘আবুবকর ভাসানী ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মাওলানা হামিদ খান ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসানী স্টাডিজ এর কোর্স শিক্ষক সৈয়দ ইরফানুল বারী, হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা, মুসাফির খানার সেক্রেটারি আলিমুদ্দিন তালুকদার, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু, ভাসানী পরিষদের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মরহুমের ভক্ত, মুরিদান, অনুসারী ও শুভানুধ্যায়ীগণ উপস্থিত হয়েছিলেন। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান।
উল্লেখ্য, আবুবকর খান ভাসানী ১৯৪৭ সালের ২৪ এপ্রিল আসামের ধুবড়ী জেলার দক্ষিণ শালমারা থানার আমতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও হামিদা খানম ভাসানীর কণিষ্ঠ পূত্র। ১৯৬৫ সালের ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ভুরুঙ্গামারীর ঐতিহাসিক কৃষক সম্মেলনের তিনি সক্রীয় কর্মী ও সংগঠক ছিলেন। ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ‘৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ভাসানী নগর গ্রামে গড়ে তোলেন মাতা হামিদা খানম ভাসানীর নামে জুনিয়র স্কুল। এখানেই তিনি শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলে “চোরমারা আন্দোলন” করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। পরবর্তীতে এই চরাঞ্চলেই তিনি গড়ে তোলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী মাদ্রাসা, দরবার শরীফ, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।