স্যামসন এইচ চৌধুরীর প্রতি

এনামুল হক টগর

প্রিয় স্যামসন,
তুমি ঈশ্বরকে যতটুকু ভালোবাসতে তা তোমার একান্ত আরাধনা বিশেষ,
কিন্তু ঈশ্বর তোমাকে তাঁর চেয়ে অধিক ভালোবাসতো সময়ের কল্যাণ অশেষ।
তাইতো তোমার শিল্পসম্রাজ্যের দীর্ঘ মহত্ত্বের এতো কল্যাণ ও বিস্তার শান-
তোমার বিজ্ঞ জ্ঞানের কারখানায় পরিবর্তনের নব নব ঔষধ ও পণ্য
যা মানব ও প্রাণীকে দেয় বিজ্ঞান চিকিৎসায় দেহের সুস্থতা,
তোমার বুকের গভীরে মানবতার বিশাল চেতনা ও শততা-
তুমি দেশপ্রেম আর ভালোবাসা থেকে গড়ে তুলেছো প্রজ্ঞাবান জন্মভূমির কর্ম।
যা কল্যাণে কারুকার্যময় ও অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতায় নতুন চৈতন্যময় আগামী-
তাই অভাবী মানুষ ক্ষুধামুক্ত হয় আর ছন্দময় প্রাণের স্বচ্ছতায় বাঁধে ঘর।
তোমার মহৎ কল্যাণ মাটির সানুদেশে দীপ্তময় আলোর বহমান এক তরী-
সে আলোর তরী ও গতিতে বিচিত্র পাখিরা উড়ে যায় গান গায়-
আর মহান রবের নাম ধরে কিচিরমিচির করে চির-কৃতজ্ঞতায়।
এ-যেন নিগুঢ় মর্মভেদ গভীর চেতনার বিস্ময় বিকাশ ধ্বনি,
তোমার কর্মের সেবা যেন দীর্ঘ পথে পথে সুদূর আগামী ও মানবতার প্রকাশ।
নতুন সূর্যের আলো ও অনাগত সময়ের বিজ্ঞ কৌশল প্রগতি অশেষ।
সে পথেই তোমার অভিজ্ঞ উত্তরসূরীরা হেঁটে যাবে সভ্যতার বিদগ্ধ গতি ভালোবাসা।
আর এই মানবতার মহত্বেই তোমার শিল্পসম্রাজ্য বাড়তে থাকবে ক্রমশ নিপুণ।
যদি তোমার মতো তোমার আগামী বংশধররা মহৎ হয় সেবায় কর্ম গুণি,
ঈশ্বর মানুষ ও তাঁর সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসে মহৎ প্রেম ও চৈতন্যের মানবতায়।
তোমার কর্মজীবন ঈশ্বর প্রেমে বিনয় ও মহৎ তাই তুমি সফল ইতিহাসে উদয়।
সময় ক্রমশ তোমার গবেষণার জ্ঞান দিয়ে দেশ ও সমাজকে আলোর পথ দেখাবে নতুন।
আর গড়ে তুলবে নতুন নতুন ফসলের খামার ও শস্যের ভাণ্ডার নির্মাণ।
আধুনিক গ্রাম নগর ও আগামী কল্যাণের শিল্পরাজ্যের প্রগতি!
তুমি বেঁচে থাকবে মানবতার ও কল্যাণের আর ইতিহাসের পাতায় পাতায় ভালোবাসার প্রেম প্রীতি।
আর বেঁচে থাকবে তোমার স্ত্রী সন্তান স্বজন ও প্রিয় বন্ধুরা,
তোমার কর্মের গুণাগুণে অন্তরঙ্গ হবে অনাগত সময়ের সাম্য অধিকার।
যে জ্ঞানে তুমি ছিলে আর্দশ ও মানবতার কল্যাণে দক্ষ কারিগর।
জীবন যেন কঠিন না হয় তাঁর জন্যই তোমার এই কর্ম চেষ্টা বার বার,
কিন্তু নিয়তির ভাগ্যক্রমে এক সময় সবারই বার্ধক্য আসে মরণ ক্রন্দন!
জীবনকে ক্লান্ত করে তোলে বিপন্ন বেদনা ব্যথার ঐ পরাপার জনম আহ্বান-
তাই তুমি চলে গেলে অচিন জগতের নতুন এক সন্তোষজনক ঠিকানায়।
শেষ বিজয় মৃত্যুর স্বাদ বুকে নিয়ে সজিব দৃঢ় দীপ্তময়!
জীবনে সাথে জীবনের হয়তো দেখা হবে বরযখ বিস্ময় অলৌকিক,
এক সময় চির-চেনা ছিল যারা তাঁরা এখন অতীত ইতিহাস ঐশ্বরিক!
তবুও মহান সমগ্র ও বৃহৎ বৃত্তের গভীরে ক্ষুদ্র আর অবিচ্ছেদ্য আমরা প্রেমময়!
ক্রমেই চক্রাকারে ফিরে আসবো আগের মতো সনাতন শান্তি ধারায়!
আর বাকি সব পড়ে থাকবে জীর্ণ ও প্রচীন স্মৃতির খোলস বিস্ময়!
এই মহাকাল অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশায়-
সময় ও জীবনকে এক সাথে নিয়ে ঘোরে অলৌকিক ও মহাবিজ্ঞানময়।
জীবন যেন এক চলমান সিরিজ হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ
থমকে দাঁড়ায়,
আবার নতুন করে সংগ্রাম আন্দোলন ও কর্ম করে জীবন উদয়।
তাই বিপ্লবী চেতনায় জীবন রূপান্তর ও পরিবর্তনই তাঁর পরিচয়!
এক সময় শ্রমজীবী দক্ষতায় প্রজ্ঞাবান হয়ে ওঠে আগামী
কিন্তু তুমি এক আশেক মাশুকের প্রেমে দিওয়ানা খাদিম!
নিশীথ নির্জন রাতে তুমি আত্মমগ্ন প্রেমের ধ্যানে ঘুমিয়ে আছো বিভোর!
এক প্রেমাসিক্ত আবেদের বিনয় বিচ্ছেদের সুরে দিওয়ানা সুমধুর।
কাকতি মিনতি ও প্রার্থনার এক ঐশী সাধনার তপস্যায়,
তাই তোমার সেবা আর কল্যাণ মানবতার মহত্বে দীপ্তময় ও চেতনাময়।
১৮/০৯/২০২০