সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারে রাতারাতি আম বাগানের মধ্যে অবৈধ ভাবে বাড়ী নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কথিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মাহাবুবুজ্জামান রাসেল বাবু ও এসতেফান সরেণ বাদী হয়ে দু’টি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড়ী নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহরাব হোসেন।লিখিত অভিযোগকারী উপজেলার ফুরকুটি ডাঙ্গা গ্রামের ফিলিপ সরেণের ছেলে এসতেফান সরেণ সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার মদনশিং মৌজায় ১৯৮২ সালের ৩০ মার্চ ৫৬৭১ (পাঁচ হাজার ছয়শত একাত্তর) ও ৫৬৭৩ (পাঁচ হাজার ছয়শত তেহাত্তর) নম্বর খোষ কবলা রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল মূলে একটি পুকুর ও পুকুর পাড় সহ ২.৭৭ একর সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে বসতবাড়ী নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলো।পরবর্তীতে হাল খতিয়ান সরকারের নামে হওয়ায় ২০০৮ সালে ওই সম্পত্তির খাজনা গ্রহন স্থগিত করে দেন তৎকালীন তহশিলদার। এরই সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের উদ্দেশ্যে ওই সম্পত্তিতে জবর দখল চালিয়ে পুকুর পাড়ে বসতবাড়ী নির্মাণ করে অধিকাংশ জায়গা ও পুকুরটি সম্পূর্ণ তাদের দখলে নেয়ে নেন। এরপরও পুকুর পাড়ে আম গাছ সহ কিছু জায়গা থেকে যায় তার দখলে। চলতি আম মৌসুম শেষে ওই আম বাগানের পুরাতন গাছ কর্তন করে নতুন গাছ রোপন করা হয়। এতেই সুযোগ বুঝে পূর্বেরধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাতে ওই আম বাগানের কিছু জায়গা অবৈধ ভাবে জবর দখল করে বাঁশের খুটি ও বেড়ায় মাটি দিয়ে ৬/৭ টি বাড়ী নির্মাণ কাজ চালায় পূর্বের দখলদারের উত্তসূরিরা।অপর অভিযোগকারী উপজেলার ফুরকুটি ডাঙ্গা গ্রামের মাহাবুবুজ্জামান রাসেল বাবুর পিতা ইয়াছিন আলী সাংবাদিকদের জানান, ওই সম্পত্তি আমাদের বাবা দাদার আমল থেকে ভোগ দখল করে আসতেছি। উক্ত সম্পত্তির প্রকৃত মালিক যদি অন্যকেউ হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই ছেড়ে দিবো।এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলীর সাথে তিনি বলেন, রাসেল বাবু কাছে ১৫ বছরের জন্য ওই পুকুর পাড়ে প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে আম বাগান করেছিলাম। চলতি মৌসুমে আমার রোপিত পুরাতন গাছ কর্তন করে নতুন গাছ রোপন করে রাসেলের বাবা ইয়াছিন আলী। পরে জানলাম ওই বাগানের কিছু জায়গা দখল করে বাড়ী নির্মাণ করছে। খবর পেয়ে বিষয়টি সামাজিক ভাবে আপোষ মিমাংশা করার চেষ্টা করি, তা অভিযোগকারীরা মেনে নিতে চাইলেও অভিযুক্তরা মানতে রাজি হইনি।স্থানীয়রা বিষয়টি স্থায়ী ভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।