পাবনার চাটমোহরে চলতি বছর বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে লক্ষ্যমাত্রার সিকি পরিমাণ ধানও সংগ্রহ হয়নি। চাল সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
৩১ আগষ্ট নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আরো ১৫ দিন বাড়ানো হয় ধান ও চাল সংগ্রহের জন্য। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাটমোহরে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২৫৫ মে.টন। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬২৫ মে.টন।
এসময় পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ২৪৩ মে.টন। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৪২৮ মে.টন।
চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ধান সংগ্রহের জন্য উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ১ হাজার ৬২৫ জন কৃষক নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া ৬৮ জন মিলারের সাথে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি হয়। এরমধ্যে ৭ জন ডিলার কোন চাল সরবরাহ করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শরিফুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বললেন, ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু কৃষক বেশী দাম পেয়ে বাজারেই ধান বিক্রি করেছেন।
তারা জানান, সরকার প্রতিমণ ধানের দাম নির্ধারণ করে ১ হাজার ৪০ টাকা। বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১১শ’ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি চালের সরকারি মূল্য ছিল ৩৬ টাকা। যেখানে বাজারে প্রতি কেজি চালের সর্বনিম্ন মূল্য ৪০ টাকা কেজি। ফলে মিলাররা ধান কিনতে পারেননি, সরকারকে চাল দিতে পারেননি। তাছাড়া করোনা মহামারীর কারণে এবার বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান পুরোপুরি সফল হয়নি।