মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ বীরগঞ্জে রশিদ সংকটের কারনে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ করতে এসে দলে দলে মানুষ ফিরে যাচ্ছে। কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষের সর্ব ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী লাখলাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্র ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর, সুজালপুর, নিজপাড়া, মোহাম্মদপুর, ভোগনগর, সাতোর, মহনপুর ও মরিচা ইউনিয়ন সমুহের ১১টি ভূমি কর্মকর্তার (তহশীল) কার্যালয় সমুহে চলতি আগষ্ট মাসের শুরু থেকে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায়ের রশিদ বহি না থাকার কারনে দলে দলে আগ্রহী কৃষক জমির খাজনা দিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ খাজনা পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে নানামুখি সমস্যাসহ ভোগান্তিতে পড়েছে।
১১টি ভূমি কর্মকর্তার (তহশীল) কার্যালয়ে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধে ব্যার্থ কৃষক আমন চাষ বা ফসলী ঋণ গ্রহন বা ঋণ নবায়ন করতে পারছে না /ব্যাবসায়ী নুতন করে ব্যাংক ঋণ গ্রহন বা ঋণ নবায়ন করতে পারছে না। সংসারের প্রয়োজনে টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারছে না বা কোটি কোটি টাকা পরিশোধ করেও জমি রেজিষ্ট্রি করে নিতে পারছে না।
খাজনা আদায়ে রশিদ বহি সংকটের কারনে শতশত মানুষ খাজনা পরিশোধ করতে পারছে না এবং একই কারনে লাখলাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। উপজেলা সদর সুজালপুর ইউনিয়নের (তহশীলের) ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, ৩০ জুনের পর খাজনা পরিশেধের হিরিক পড়েছে কিন্ত রশিদ সংকটের কারনে গত ২০/২৫ দিনে ৪/৫ লাখ টাকা আদায়ে ব্যার্থ হয়েছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডালিম সরকার সংবাদেও সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুধু বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নয় দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় সকল ভূমি অফিসে রশিদ বহির সংকট চলছে এবং রংপুর বিভাগের প্রতি জেলায় খাজনা আদায়ের রশিদ বহির সংকট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদাপত্র দিয়ে সার্বক্ষনিক খোজখবর নেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে রশিদ বহি পৌছালে সংগ্রহ করে ১১টি ভূমি কর্মকর্তার (তহশীল) কার্যালয়ে পেেৈছ দেয়া হবে।