কৃষকের স্বপ্নের ফসল নষ্ট করার জন্য এক সময় সরকারি অর্থ ব্যয়ে ঘটা করে ইঁদুর নিধন অভিযান চালানো হত।তথ্য মতে বছরে প্রায় লক্ষ টন ফসল নষ্ট করতো ইঁদুর।যা জাতীয় ক্ষতি হিসাবে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ইঁদুর নিধনে অর্থ ব্যয় করতো সরকার।
ইঁদুরের ফসল নষ্ট করার মাত্রা হয়তো কমে গেছে।কারন এখন আর ঘটনা করে সে অভিযান চালানো হয়না।তবে ইঁদুরের মত আরেক ক্ষুদ্র প্রানী কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ট কৃষকরা।বিশেষ করে ফল চাষি ও খামারিরা।
আম,কাঁঠাল,মাল্টা,ডাব,সফেদা,শরীফা,পেয়ারা,সহ প্রায় সব ধরনের ফল খেয়ে এবং অর্ধ খেয়ে নষ্ট করছে কাঠবিড়ালি।শুধু ফল নয় ফুলকপি,বাঁধাকপি,মুলা,গাজর,লেটুস,সহ বিভিন্ন ধরনের শবজী খেয়ে সাবাড় করছে এই কাঠবিড়ালিরা।এতে করে ধুলিস্যাৎ হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।আর্থিক লোকশানের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে জাতীয় ভাবেও ।
ফল ও শবজী চাষী সেলিম রেজা জানান,তার খামারে প্রায় দেড় প্রজাতির দেশী-বিদেশী ফল চাষ করা হয়।কিন্তু কাঠবিড়ালির আক্রমনে দিশেহারা তিনি।অসময়ের উৎপাদন হয় এমন ধরনের মূল্যবান ফল ফসল খেয়ে এবং জখম করে নষ্ট করছে কাঠবিড়ালী ।এতে করে আর্থিক ভাবে ব্যাপক লোকশানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।কাঠবিড়ালির মাধ্যমে ফসল নষ্ট করার বিষয়টি ম্বীকার করলেও এ ব্যপারে করনীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কৃষি কর্মকর্তারা।জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান,কাঠবিড়ালি প্রচুর ফল ফসল নষ্ট করে কৃষকের ক্ষতি করছে।
কাঠবিড়ালির হাত থেকে ফল-ফসল রক্ষা করতে অনেকেই শব্দ বা ঘন্টা বাজানোর মত ফাঁদ ব্যবহার করছেন।অনেক ক্ষেত্রে সেটিও কাজে আসছেনা।তাই এ ব্যাপারে এখনই কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের সমম্বিত উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষি উদ্যোক্তারা।