সিলেটের বিশ্বনাথে গাড়িতে হামলার ঘটনায় গণফোরাম নেতা ও সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খানের বক্তব্যের সঙ্গে এজাহারের কোনো মিল নেই। ওই দিন এমপি মোকাব্বির খানের গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করে হামলা করা হয়। মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি নিজেই এসব কথা বলেন। কিন্তু এজাহারে ককটেল হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে, হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শনিবার আদালতে যুবলীগ নেতা দবির মিয়ার তিন দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।গত ১০ আগস্ট উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রবেশের সময় বিআরডিবি হলরুমের গেটের সামনে ওসিসহ পুলিশের উপস্থিতিতেই এমপি মোকাব্বির খানের গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করে হামলা করা হয়। সেই ইটের টুকরো গাড়ির সাইটে না লেগে সামনের গ্লাসে লেগে একটু ফেটে যায়। সেটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মোকাব্বির খান নিজেই এমন অভিযোগ করেন। তিনি ওই সভায় শামীম আহমদ ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তার গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করেছেন বলে জানান।এ ঘটনায় ১১ আগস্ট রাতে এমপির এপিএস অসিত রঞ্জন দেব বাদী হয়ে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার এজাহারে রহস্যজনকভাবে বলা হয় লাল স্কচটেপে মুড়ানো ককটেলসদৃশ কৌটা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে ঢিল মারা হয়।আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমপির মুখের বক্তব্যের সঙ্গে মামলার এজাহারের মিল না থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর ওই মামলায় ১১ আগস্ট রাতে যুবলীগ নেতা দবির মিয়াকে গ্রেফতারের পর ১২ আগস্ট কোর্টে প্রেরণ করে পুলিশ। গত ১৫ আগস্ট পুলিশের চাওয়া তিন দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ আগস্ট দবির মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।