মৌলভীবাজারে ২ সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে টাকা ও স্বর্ণ হাতিয়ে নিয়ে শারিরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার এর পুত্র আব্দুর রহমান এর বিরুদ্ধে। এ ঘঠনায় ভুক্তভোগী পারভীন বেগম মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ (স্বারক নং-২৮২০/ভি,তারিখ ঃ ২৮/০৭/২০) দায়ের করেছেন। পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে- আজ থেকে প্রায় ২বছর পূর্বে রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার এর পুত্র (শহরের পশ্চিম বাজারের মুদি দোকানদার) আব্দুর রহমান এর সাথে পরিচয় হয় পারভীনের। যোগায়োগের একপর্যায়ে তিনি, শারিরিক সর্ম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করলে পারভীন তার সংসারে ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। এবং তাদের পিতার মৃত্যুর পর তাদের সংসারের হাল ধরে রেখেছেন বলে একাধিকবার বুঝানোর চেষ্টা করেন। এতসব বাঁধা এবং সকল বিষয় বুঝিয়ে বলার পরও তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং আল¬াহকে স্বাক্ষী রেখে বিবাহের কথা বলে শারিরিক সর্ম্পর্ক করেন। এর পর থেকে একাধিকবার তিনি শারিরিক সর্ম্পর্কে জড়ান। অপরদিকে, রহমান এর ব্যবসার মূলধন বাড়ানোর কথা বলে তার কাছ থেকে ১ লক্ষ, ২ লক্ষ, ৫০ হাজার, ৩ লাখ টাকাসহ একাধিকবার ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কৌশল অবলম্বন করে নগদ ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণ হাতিয়ে নেন। সর্বশেষ, পারভীনকে তার স্ত্রীর মর্যাদা দিবেন বলে নেত্রকোনা জেলার মদন থানার ফতেপুর গ্রাম থেকে মৌলভীবাজার নিয়ে আসেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে প্রথমে শহরের গীর্জা পাড়া এলাকার একটি বাসার ৩য় তলায় একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নেন। সেখানে ২ মাস অবস্থান করার পর বাসা পরিবর্তন করে একই ভাবে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে শহরের সেন্ট্রাল রোড, ( বস টেইলার্স এর পার্শ্বে), ৪র্থ তলায় বাসা ভাড়া নেন। বর্তমান করোনা মহামারি কালীন সময়ে তার ভরণ-পোষন গ্রহণ না করায় বিষয়টি বর্তমান বাসার কেয়াটেকারকে অবগত করেন। একাধিকবার রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে বাসায় আজ- কাল আসবো বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। সর্বশেষ বাসার কেয়ারটেকার তাকে সাথে নিয়ে রহমান এর খোঁজখবর নিতে তার গ্রামের বাড়ীতে গেলে রহমান পারভীনকে বর্তমান বাসায় নিয়ে আসবে বলে গাড়ীতে উঠায়। একপর্যায়ে শহরের রায়শ্রী এলাকায় তার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে বন্ধুর বাসায় পারভীনকে উলঙ্গ করে অমানবিক নির্যাতন চালায়। এমন নির্যাতনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী পারভীন বলেন- আমার সুখের সংসার ছিল। রহমান সব শেষ করে দিয়েছে। সকল কিছু আন্তসাৎ করেছে। আমাকে উলঙ্গ করে অমানবিক নির্যাতন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে টাকা ও স্বর্ণ হাতিয়ে নিয়ে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং আমাকে যতাযত ভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি। এবং সংশি¬ষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে একান্ত আইনী সহযোগীতা, প্রতিকার এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন- পারভীনের সাথে আমার দোকানে পরিচয়। সেই পরিচয়ের সুত্রে এক বাসার মালিকের সাথে কথা বলে বাসা ঠিক করে দেই। বিবাহের বিষটি সঠিক নয়। মাঝে মধ্যে তার বাসায় দাওয়াত খাবার সুবাদে আমাকে বিভিন্ন ভাবে দুর্বল করে ফেলে। এক পর্যায়ে আমার অজান্তে বিভিন্ন রকম ছবি তোলে এবং মুঠোফোনে কথা বলে আমাকে ব্রাকমেইল করেছে। আমি এতসব কিছু হবে বুঝতে পারি নাই। আমিও তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।