উত্তরবঙ্গে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্লাটফর্ম গঠনে সংলাপ

উত্তরবঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গঠনের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। রবিবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মের ২১০ জন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় শিশু সুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে উক্ত প্লাটফর্ম গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রিজিওনাল ফিল্ড ডাইরেক্টর অঞ্জলি জাসিন্তা কস্তা।
সংস্থার রিজিওনাল এডভোকেসি ও চাইল্ড প্রোটেকশান কো-অর্ডিনেটর জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় জুম ভিডিও কনফারেন্সে পর্যায়ক্রমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতের মাঝেই শিশুদের শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন সংস্থার সিনিয়র ডাইরেক্টর অপারেশনস্ ও প্রোগ্রাম কোয়ালিটি চন্দন জাকারিয়া গোমেজ এবং রেসপন্স ডাইরেক্টর সাগর মারান্ডি। এছাড়াও ইসলাম ধর্মের আলোকে শিশু সুরক্ষার গুরুত্বের পর্যালোচনা এবং উক্ত প্লাটফর্ম গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন জাতীয় ইমাম এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক এসএম উসমান গনি, প্লাটফর্ম গঠনে খৃষ্টান ধর্মের পক্ষে কথা বলেন ফাদার পেট্রিক এবং হিন্দু ধর্মের পক্ষে কথা বলেন মাইনরিটি ওয়াচ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ব্যানার্জী। সভায় বক্তরা বলেন, উত্তরবঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ শিশু সুরক্ষায় ব্যাপকভাবে কাজ করছেন। এই প্লাটফর্ম আগামী দিনে সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দকে একত্রে কাজ করার জন্য একটি ছাতার নীচে আনবে। কোভিড-১৯ এর কারণে শিশুরা আজ বাসায় বন্দি যার দরুণ তারা শিশুরা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এবং কন্যা শিশুরা বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে। বেশিরভাগ ধর্মই শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কথা বলে। ধর্মের মধ্যে একটা শক্ত কাঠামো আছে। এই শক্তকাঠামোই শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় সংস্থার পক্ষে ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন টনি মাইকেল গোমেজ ও রানা দীপঙ্কর মজুমদার। শিশুদের পারিবারিক পরিমন্ডলে নৈতিক ও আধ্যাতিক চর্চার মাধ্যমে বেড়ে ওঠার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষার মূল বিষয়গুলো নিয়ে পারিবারিক, স্থানীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে এডভোকেসি করণের লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী দিনে ৩৫ জনের সর্বধর্মীয় একটি শিশু সুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্লাটফর্ম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।