নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিষধর সাপের খামার মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৩৫) ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ওই খামার থেকে ৪৯টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বৈদ্যবেলঘরিয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামে গড়ে তোলা ওই সাপের খামারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুলাহ আল মামুন। খামার মালিক শাহাদাত হোসেন ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
ইউএনও আব্দুলাহ আল মামুন জানান, শাহাদাত হোসেন গত কয়েক মাস আগে শখের বশে ৪-৫টি সাপ নিয়ে একটি ছোট খামার গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে বিষ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্য নিয়ে ওই খামারের পরিধি বৃদ্ধি করেন। তবে সাপের খামার গড়ে তোলার
ব্যাপারে তার কোনো বৈধ লাইসেন্স বা অনুমতি ছিল না। সাপ লালন-পালন বা চাষ করার কোনো প্রশিক্ষণও ছিলনা তার। ফলে তার খামারটি এলাকাবাসীর জন্য ছিল হুমকি স্বরূপ।
ইউএনও বলেন, তার খামারে পদ্মগোখরো ও গোখরো এই দুই প্রজাতির ৪৯টি সাপ ছিল। সবগুলো খুবই বিষধর। আর এসব বিষধর সাপের খামার গড়ে তোলার কারণে এলাকাবাসীও ছিলেন চরম
আতঙ্কে। বিষয়টি জানার পর রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানানো হয়।
বিকেলে তাদের একটি অভিযানিক দল নলডাঙ্গায় আসেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে ওই সাপের খামারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খামার থেকে ৪৯টি বিষধর সাপ ও বিপুল পরিমাণ ডিম উদ্ধার
করা হয়। আর লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে সাপের খামার গড়ে তোলার অপরাধে শাহাদাত হোসেনকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে খামারটি সিলগালা করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত এসব সাপ ও সাপের ডিম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসময় নলডাঙ্গা থানা পুলিশ সহায়তা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) জাহাঙ্গীর কবির, ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম, সাপ বিশেষজ্ঞ রোমন, নাটোর জেলা বন কর্মকর্তা সত্যনাথ সরকার, ওয়ার্ল্ড লাইফ জুনিয়র স্কাউট মিমনুর রহমান, বাংলাদেশ জীব বৈচির্ত্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) কেন্দ্রীয় দপ্তর স¤পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।