সুন্দরগঞ্জে বসতবাড়ি রক্ষায় তিস্তায় ফেলা হচ্ছে জিওব্যাগ

 ঠেকানো যাচ্ছে না নদী ভাঙন। প্রতিদিন তিস্তা গিলে খাচ্ছে শতাধিক বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। ভাঙন ঠেকাতে উপজেলার হরিপুর খেয়াঘাট, লালচামার ও শ্রীপুর ইউনিয়ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে ৪০ হাজার জিওব্যাগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর বিশেষ আবেদনের প্রেক্ষিতে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল বুধবার হতে জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এবং পানি কমতে শুরু করলেও তিস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। টানা ভাঙনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর, শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর, পুটিমারী, কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া বাদামের চর, পোড়ার চর, কালাইসোতার চর, কেরানির চর, ফাকরের চর, লালচামার, হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া, চর মাদারিপাড়া, কানিচরিতা বাড়ি গ্রামে দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে হাজারও একর জমি ও বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েক হাজার একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।  বন্যার পাশাপাশি ভাঙন অব্যাহত থাকায় বেসামাল তিস্তা পাড়ের মানুষজন। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর বিভিন্ন চরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের কারনে ভাঙনের ফলে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারহ ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। কথা হয় চন্ডিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার  সাথে। তিনি বলেন তিস্তায় এ বছরের ভাঙন গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। দীর্ঘদিন থেকে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। তিনি বলেন জিওব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। তার বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি  বলেন সারা বছর নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন একদিকে করোনা, অন্যদিকে বন্যা এরপর নদী ভাঙন। সবমিলে চরবাসি ভাল নাই। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানন উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোডের নিবার্হী পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান নদীভাঙন রোধে উপজেলার হরিপুর খেয়াঘাটে ১০ হাজার, লালচামারে ১০ হাজার ও ও শ্রীপুর ইউনিয়নে ২০ হাজারসহ মোট ৪০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে নদী শাসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের একটি প্রকল্প ইতিমধ্যে একনেকে পাস হয়েছে।