বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম কাঠিরা গ্রামে প্রভাবশালী পরিবারের এক যুবক কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের কারণে অন্ত:স্বত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবক একই উপজেলার খ্রিস্টধমীয় ফেলোসিফ মন্ডলীর এক হতদরিদ্র পরিবারের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে সম্প্রতি ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্ত:স্বত্তা হয়ে পরেছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়াতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয় দিলে তারা মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। ফলে ধর্ষকের ভয়ে ধর্ষিতা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি এখন ওই এলাকায় টক অব দ্য হিস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবারসূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়ায় উপজেলার পশ্চিম কাঠিরা গ্রামের আন্দ্রিয় পাড়ইর ছেলে অমিত পাড়ই (২০) একই উপজেলার খ্রিস্টধর্মীয় ফেলোসিফ মন্ডলীর এক হতদরিদ্র পরিবারের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে সম্প্রতি গভীর রাতে তার ঘরে গিয়ে ধর্ষণ করে। অমিতের ধর্ষণের কারণে ধর্ষিতা বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্ত:স্বত্তা হয়ে পরেছে। ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়াতে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে আসছে। ধর্ষিতা ও তার পরিবার ধর্ষকের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার পরিবার। বিষয়টি এখন গ্রামে সকলের মুখে মুখে টক অব দ্য হিস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। পরে এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়াতে ধর্ষিতার পরিবারকে ভয় দিলে ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। এছাড়া একটি মহল ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টায় রয়েছে।
ধর্ষকের মামা স্যামুয়েল রায়, ধর্ষকের মা রাহেল ও বোন আঁখি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, অমিত অপরাধ করেছে এটা সত্য। আমরা চাই ওই মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার।
এব্যাপারে স্থানীয় গৈলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর সুধীন অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ফেলোসিফ মন্ডলীর ওই স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের কারণে অন্ত:স্বত্তা হয়েছে এ ঘটনা সত্য।
এব্যাপারে ফেলোসিফ মন্ডলীর সম্পাদক আনন্দ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের ফেলোসিফ মন্ডলীর বিধানমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত ধর্ষক অমিত পাড়ই পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এবিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। আমি আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম, এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।