নাসিম উদ্দীন নাসিম–করোনাকালে চলনবিলের মানুষের কাছে তাদের এক কৃতি সন্তানের অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে । আর তিনি হলেন,মানবতার ফেরিওয়ালা নাটোরের চলনবিলের কৃতিসন্তান ও বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) এসবি ইঞ্জিনিয়ার নাফিউল ইসলাম ।করোনা ভাইরাসের সময়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের ঘরে এক বেলা খাবার জুটে কিনা তাও সন্দিহান ছিল। সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তি উদ্যোগে ধনাঢ্যরা তাদের নানাভাবে সহায়তা করছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মধ্যে শুধু তার ব্যক্তিসত্তাকেই নয় বরং পুরো পুলিশ বাহিনীর অবয়বকে কেন্দ্র করে একটি গ্রহণযোগ্য অবয়বে সমুন্নত করার প্রয়াস, হাজারে পাওয়া না পাওয়ার মাঝে এই বহু-মাত্রিক পাওয়া তাকে করেছে সমুন্নত, পুলিশ বাহিনী হয়েছে ধন্য। বর্তমানে তিনি ডিআইজি রাজনৈতিক (এস বি) শাখার এ জেড এম নাফিউল ইসলাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।চলনবিলের অসহায় মানুষের পাশে দেবদূত হয়ে দাঁড়ানো এ জেড এম নাফিউল ইসলাম ব্যক্তিগত প্রচার ও প্রকাশ পছন্দ করেন না বলেই তাঁর আত্মত্যাগ অনেকের অজানা। আজ তাই কিছু কথা লিখতে মন চাইছে। তুলে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে তাঁর কিছু মহতি উদ্যোগের কথা।
পুলিশের চাকুরিতে পেশাদারিত্বের জন্য তার সুনাম রয়েছে অনেক। পুলিশি গুরুদায়িত্ব পালনে সাফল্যের স্বীকৃতি ছাড়াও সমাজ ও মানুষের জন্য কাজ করা ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা ও অনবদ্য ভূমিকা তাকে দিয়েছে বিশেষ খ্যাতি।পুলিশের পেশাদারিত্বের পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমেও অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন সবসময়ই ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে পুলিশ অনেকটা সুনাম অর্জন করেছে। তবে অনেকটা প্রকৃত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হয়ে কাজ করছেন চলনবিলের কৃতি সন্তান ডিআইজি রাজনৈতিক (এস বি) শাখার এ জেড এম নাফিউল ইসলাম ।পুলিশ কর্মকর্তা হলেও নাটোরের অসহায় মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি ।তার মতো কিছু পুলিশ কর্মকর্তার করা ভালো কাজগুলো পাল্টে দিচ্ছে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক সব ধারণা।অপরাধ দমনে শুধু গতানুগতিক পুলিশিং নয়, অসহায় মানুষের পাশে থেকে একের পর এক মাবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন তিনি । করোনা পুরোটা সময় জুড়ে দফায় দফায় চলনবিল অধ্যূাষিত নাটোর ও সিংড়ার শত শত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও মাস্ক, জীবাণুনাশক স্প্রে বিতরণ করে । করোনার শুরু থেকে মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ব্যানার কয়েক দফা খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন । এছাড়া কয়েকদফা তিনি নাটোরে কর্মরত চিকিৎসক,পুলিশ,সাংবাদিকদের পিপিইসহ প্রদান করেছেন । রোজা ও ঈদে অসংখ্য মানুষকে তিনি দিয়েছেন খাদ্য সহায়তা। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আছে চাল, ডাল, তেল, সেমাই, নারিকেল, লবণ, ময়দা, খেজুর, আলু, পিঁয়াজ, ছোলা, সাবান ও বাচ্চাদের জন্য চিপস। এ ছাড়া কারও চাহিদা অনুযায়ী কোনো কোনো প্যাকেটে বাচ্চাদের দুধ ও মসলাও দেয়া হয়।এ ছাড়া বিকাশের মাধ্যমে আরও অনেক পরিবারকে দিয়েছেন সাধ্যমতো নগদ অর্থ। তবে তার এ উদ্যোগে শুধু গরিব অসহায়রা সাহায্য পাচ্ছেন তা নয়। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাহায্য নিচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছে থাকলে কাজের মধ্যে থেকেও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা যায়। প্রয়োজন শুধু মানসিকতা।জনকল্যাণে করা আরও বেশ কিছু কর্মকাণ্ড এ জেড এম নাফিউল ইসলাম দিয়েছে প্রকৃত‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ উপাধি। তার মানবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
দেশের এই কঠিন দুঃসময়ে পেশাশত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ভুলে যাননি চলনবিলের মানুষদের কথা। যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছেন খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে সুবিধা বঞ্চিতদের কাছে পৌঁছে দিতে।
লালোর ইউনিয়নের ক্ষেতমজুর আবু মিয়া জানান, কিছুদিন আগে আমি শুধু বলেছিলাম, ‘ভাইয়া আমার এলাকায় কিছু মানুষ যারা খুবই অভাবে আছে, কিন্তু চক্ষু লজ্জার কারনে যেয়ে ত্রাণও চাইতে পারে না।’ কয়েক ঘণ্টা পরেই ফোন পেলাম উনার, ‘ ঠিকানা বলেন। আপনাদের কাছে আজকে পৌঁছে যাবে উপহার সামগ্রী। একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করলেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোকে গোপনে গোপনে খাবার গুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য।’ এখনো মনে পড়ে সেই দিনটির কথা। মানুষগুলো যখন এই উপহারগুলো পেয়েছিলো তাদের সে আবেগময় হাসি ভোলার মত নয়।
তাছাড়া পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করা সাংবাদিকদের প্রতিও খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাদের সুরক্ষার জন্য নাটোরের বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ,চিকিৎসক আর সাংবাদিকদের দিয়েছেন করোনা সুরক্ষা সরঞ্জাম। করোনার মত মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) ইঞ্জিনিয়ার নাফিউল ইসলাম যেনো একজন সত্যিকার মানবতার ফেরিওয়ালা ।
করোনার ভয়াল সংক্রমণ কেড়ে নিচ্ছে মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে কত শিল্পপতি। এই যেমন চলে গেলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল। আইসিইউ সুবিধা কিংবা অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য কত হাহাকার! চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল দেখার পরেও তিনি যেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মত জ্ঞানী এখনো হয়ে উঠিনি। তবে উনাকে আদর্শ হিসেবে মেনে চলার চেষ্টা করি ।সবাইকে বলবো,বর্তমান তরুণ সমাজের এ রোল মডেল তার দেখানো পথেই চলবে এটা কামনা করি। নিজ নিজ জায়গা থেকে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা ইঞ্জিনিয়ার নাফিউল ইসলাম হওয়ার চেষ্টা করবে।