চলনবিলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত ডুবে যাচ্ছে পুকুর, রাস্তাঘাট

চলনবিলে বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১ সপ্তাহে প্রায় ৩ শতাধিক পুকুর, আউস ধান ও বীজ তোলা ডুবে গিয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, পাবনার ভাঙ্গুড়া,চাটমোহর,ফরিদপুর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার চলনবিল অধূষ্যিত এলাকায় গত এক সপ্তাহে বন্যার পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিলের নি¤œাঞ্চলে বানিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা শত শত পুকুর তলিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায় পানি উঠায় রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে এ অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অপরদিকে, তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরীয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ডুবে যাওয়াতে সেখানে রোগীদের সেবা দেয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

তাড়াশ উপজেলার গ্রামের মৎস্যচাষী জর্জিয়াস মিলন রুবেল জানান, চলনবিলে পানি বৃদ্ধির ফলে এরই মধ্যে হাজার হাজার একর জলাতয়নের প্রায় ৩ শতাধিক মাছ চাষ করা পুকুর ভেসে গেছে। এতে কোটি টাকা মুল্যের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্যচাষীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছেন।

তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মাহমুদুল হাসান মাসুম জানান, এখন পর্যন্ত শুধু তাড়াশ উপজেলায় ৫৩টি পুকুর ভেষে গিয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় ২৫ লক্ষটাকা। তাছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে প্রতিদিনই পুকুর ডুবে যাচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, এখণ পর্যন্ত ৬ হেক্টর বিজতলা ডুবে গিয়েছে। এছাড়া কিছু আউস ধান ডুবে গিয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকের আরো ক্ষতি হবে।