দ্বিতীয় টেস্টে অনেকের করোনা পজেটিভ হলেও, সম্প্রতি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় টেস্ট ছাড়াই করোনা রোগীদের সুস্থ ঘোষণা করা হচ্ছে। এতে নতুন করে দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা। শনাক্তের ১৪ থেকে ২১ দিন পর কারো কোন উপসর্গ না থাকলেই তাদের সুস্থ ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যে টেস্ট ছাড়াই এ উপজেলার ৩০ জন করোনা রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করেছেন উপজেলা স্বাস্ব্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের প্রশ্ন, যেহেতু দ্বিতীয় টেস্টেও একাধিক ব্যক্তির ফের করোনা পজেটিভ এসেছে, সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়া সুস্থ ঘোষণা কতোটা যৌক্তিক?সূত্র জানায়, উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারণ নারী-পুুরুষ ও শিশুসহ এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন। করোনায় প্রাণ গেছে ৩ জনের। এদের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪৬ জন। দ্বিতীয় টেস্টেও পজেটিভ রিপোর্ট আসে অন্তত ১০ জন করোনা রোগীর। অথচ কোন পরীক্ষা ছাড়াই সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনানুযায়ী ৩০ জন করোনা রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।পরীক্ষা ছাড়াই ‘সুস্থ ঘোষিত’ রোগীরা বলছেন, হোমকোয়ারেন্টি ও আইসোলেশন শেষে উপসর্গ না থাকায় আমাদের সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। তবুুও আমরা শঙ্কায় আছি। পরীক্ষার মাধ্যমে এটি করা হলে আমরা নিশ্চিন্তে দিনযাপন করতে পারতাম।এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে ফলোআপ টেস্টে আমাদের ১০ জন রোগীর পূণরায় পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বর্তমানে দ্বিতীয় নমুনা না নেয়ার জন্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই আমরা দ্বিতীয় টেস্টের জন্যে নমুনা নিচ্ছি না। নির্দেশনানুযায়ী উপসর্গ না থাকায় ইতিমধ্যে ৩০ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে।