নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নিখোঁজের একদিন পর আফসানা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরীকে তার বোন জামাই আবুল কাশেম (২৩) ধর্ষনের পর হত্যা করে পাহাড়ের গর্তে ফেলে দেয়। দুর্গাপুর থানায় বুধবার রাতে ১৬৪ ধারার জবান বন্ধিতে আবুল কাশেম এ সকল তথ্য দিয়েছে বলে জানান ওসি মিজানুর রহমান।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নিহত আফসানা আক্তার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের দিনমজুর আবু ছালেকের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। গত বুধবার সকালে পাহাড়ে কচুর লতি সংগ্রহ করতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সবখানে খুঁজেও আফসানাকে না পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরদিন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর আসে ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে পাহাড়ের গর্তে মুখে কাপড় গুজা অবস্থায় একটি লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে দুর্গাপুর পুলিশ বৃহ:স্পতিবার রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ পর থেকে পুলিশের উর্দ্ধতন মহলের দিক নির্দেশনায় ওসি তদন্ত মীর মাহবুব ও থানার অন্য অফিসারদের সহায়তায়, বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে বুধবার কিশোরীর বোন জামাই আবুল কাশেম কে গ্রেফতার করলে ১৬৪ ধারার জবান বন্ধিতে কাশেম জানায়, বুধবার দুপুরে আফসান পাহাড়ে কচুর লতি সংগ্রহ করতে গেলে কাশেম দুর থেকে তা দেখতে পায়। কাছে গিয়ে নানা অজুহাতে শ্যালিকার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে বিয়ে করে দুরে কোথায় চলে যাবে মর্মে তাকে ধর্ষন করে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলে আফসানা কে আপাতত বিয়ে করবে না বলে জানালে ওই কিশোরী বিষয়টি বুঝতে পেরে ধর্ষনের বিষয়টি বাড়ীতে জানাবে বল্লে গায়ের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আফসানার হত্যা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মুখে কাপড় গুজে পুনরায় শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত হলে লাশ পাহাড়ের গর্তে ফেলে স্থান ত্যাগ করে।
এ নিয়ে মেয়েটির বাবা থানায় একটি অভিযোগ করলে পুলিশের উর্দ্ধতন মহলের তত্বাবধানে আবুল কাশেম কে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, হত্যা ও লাশ গুমের অপরাধে দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন