উপজেলা পর্যায়ে ভোলার তিন উপজেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সেবায় ইনফরমেশন টেকনোলোজির প্রয়োগ শীর্ষক চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। ১৩ জুন ২০২০ তারিখ শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব মেনে ভোলার সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষাণ কর্মসূচি শুরু হয়। বরিশাল বিভাগের মূল এবং খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার তরফদার মোঃ আক্তার জামীল এ প্রশিক্ষণ কমর্সূচির শুভ উদ্বোধন করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভোলা সদর এর অতিরিক্ত দায়িত্বে কর্মরত মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রশিক্ষণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ, ভূমি তথ্য সেবা ও কাঠামো, ই-মিউটেশন, ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসের রেজিস্টার সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করণ, নামজারি রিভিউ ও মিস মোকদ্দমা, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও প্রতিবেদন প্রেরণ, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা, খাসজমি ও সায়রাত মহল ব্যাবস্থাপনা, এসএফ লিখন পদ্ধতি, উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান প্রভৃতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ও ভূমি সেবায় ইনফরমেশন টেকনোলজি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। জনদুর্ভোগ ও হয়রানি বন্ধে ইনফরমেশন টেকনোলজির ব্যবহার একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে। সে লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি সংস্কার বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়নের লক্ষে ল্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলআইএমএস) প্রণীত হয়েছে। দেশের সবকয়টি জেলাতে ই-মিউটেশন চালু করা হয়েছে যার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই ভূমি উন্নয়ন করের দাবী নির্ধারণ এবং আদায়ও অনলাইনে সম্পদিত হবে। এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত সেবা সহজ করতে সারাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সেবা প্রদান পদ্ধতিকে অটোমেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে। তিনি হয়রানিমুক্ত পরিবেশে সেবা প্রদানের জন্য ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহবান জানান। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি রিসোর্স পার্সন হিসেবেও দু’টি সেশন পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, ভোলা জেলার সদর, দৌলতখান ও মনপুরা মোট তিনটি উপজেলার সর্বমোট ৩০ জন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্টিফিকেট সহকারী, সার্ভেয়ার অফিস সহকারী ও নামজারী সহকারীবৃন্দ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন।