এনামুল হক টগর
আমরা গরীব আমরা কৃষক আমরা রাখাল আমরা ছাত্র শ্রমিক কর্মজীবী।
আমরা শোষিতের পক্ষে ন্যায়-পরায়ণ প্রবল সংগ্রামী চির-সজিব!
আমরা অশুভ বিশ্ব-শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াই বিপ্লবে দীর্ঘজীবী।
তোমরা অতি আধুনিক ও অশুভ সাম্রাজ্যবাদ শাক্তির মতো বিষধর শাসক।
আমাদের সামনেই শুধু দেখাও স্নেহ ও মমতা অবাক
আর কিছুক্ষণ পরেই ভুলে যাও ছলনার মরিচিকা।
তোমরা কি ভয়ংকর,পেছন গিয়েই জীবন আর্দশ সভ্যতা ও মানবতাকে ও করো হত্যা!
আমাদের দেশের সম্পদগুলো কৌশলে গ্রাস করতে চাও কঠিন বৈষম্য নীতি।
ছল চাতুরির টালবাহানাতো তোমাদের নিত্য নতুন কলা কৌশল আজব ধাঁধায়!
চালাকি দিয়ে তোমরা বিশ্বের আসহায় গরীবদের রক্ত শ্রম করো শোষণ কঠিন যন্ত্রণায়।
তোমাদের গোপন অশুভ ফাঁদ যেন বন্য সর্পের মতো ভয়ংকর হিংস্র বিষধর দানব।
যা মানবতা ও মানবজাতিকে করে ব্যথিত লাঞ্ছিত আর দুঃখে কষ্টে জীবন মলিন করে অভাব!
আমরা গরীব আমরা শ্রমিক আমরা সংগ্রামী,আমরা কৃষক আমরা ছাত্র-ছাত্রী প্রগতির।
আমরা দেশপ্রেমিক স্বাধীনতার শান্তি ও সু-ষমবন্টন নীতির ক্ষুধামুক্ত অধিকার,
সম্পদ বন্টনে শোষিতদের পক্ষে সাহসী লড়াই করি।
আমাদের এক বেলা ভাত জোটেতো কাপড় জোটেনা
কখনো অর্থের অভাবে অসুখে ও বিসুখে ক্লান্ত জীবন।
প্রিয় পুত্র কন্যা স্বজন ও প্রতিবেশিরা বিষণ্ণ দুর্দিন দূর্ভক্ষ আর মহামারীতে কাঁদে কঠিন অনাহারী যন্ত্রণায় যন্ত্রণায় বিপন্ন।
অভব অনাটনে পিতা ও মাতার বক্ষখানা যেন বেদনায় হয়ে ওঠে ক্ষত-বিক্ষত চুরমার।
তবুও আমরা বার বার ঘুরে দাঁড়াই আর্দশ ও সভ্যতার জন্য করি নব নব সংস্কার।
মহৎ সেবা ও কল্যাণ ছড়াই মহা-মানবতার দিকে দিকে আর্দশ এক মহান জাতি।
হে ভণ্ড পুঁজিবাদ,হে পণ্ডিত সাম্রাজ্যবাদ,হে ভণ্ড অশনি নাস্তিবাদ,
হে বিশ্ব অত্যাচারী রক্ত ঝরনো নিষ্ঠুর নির্মম শাসক ফেঁতনায় ফেঁতনায় করো বিবাদ।
শুনে রাখো? সময়ের সংগ্রামে একদিন অসহায় গরীবরাই তোমাদের অপশক্তি রুখে দেবে করবে ক্ষয়।
তারপর শোষিতরা জেগে উঠবে মহা-সমাবেশ ও মুক্তির চেতনাময় মিছিলে দীপ্তআলোময়।
তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লড়াইয়ে গড়ে উঠবে সমান নীতির মহা-ঐক্য।
সেদিন বিশ্বের রক্ত ঝরানো অত্যাচারী শাসকরা হবে ব্যর্থ পরাজয় নির্বাক।
আর শোষিত শ্রমিক কৃষক ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হবে বিজয়,
যার নাম হবে ন্যায়-পরায়ণ বাংলার অধিকার পরিচয়।
যেন শোষিতের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মহা-দেশপ্রেম ও মহান জাতির স্বাধীনতার মহাজয়।