দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে ৬টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন, শতাধিক ঘর-বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ উপজেলা দুর্গাপুর।
পর্যটন শিল্পের জন্য সম্ভাবনাময় দুর্গাপুর নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে দিন দিন এর আয়তন ছোট হয়ে আসছে ।
দুর্গাপুরে টানা ভারী বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের ৬টি বসত ঘর সোমেশ্বরী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ওইসব বসতিদের নিজেদের ঘর নিজেরাই ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে ।
শনিবার ভাঙন কবলিত এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়।
উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ভুলিপাড়া, বড়ইকান্দি, কামারখালী গ্রামের সোমেশ্বরী
নদীর পানির প্রবল স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে যায়। ওই গ্রামের অসংখ্য পরিবার নদীর পারে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। নদী ভাঙনের ফলে ভুলিপাড়া,বড়ইকান্দি,খামারখালী গ্রামের পুরো অংশই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ বন্যার পানির আগমনে নদীর পাড়ে বসতিরা পড়েছে বিপাকে। নদীর পাড়ের পানির প্রবল ¯্রােতে নিচ দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে দেবে যাবে অনেকের ঘর-বাড়ি। ঝুঁকিতে আছে এলাকার বেশ কয়েকটি
বিদ্যালয় সহ মজজিদ মন্দির গীর্জা গুলো । ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে অনেক পরিবার তাদের বাড়ির
উঠানে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলছে । চরম ঝুঁকিতে রয়েছে অসংখ্যা ঘরবাড়ি।
যেকোন সময় নদী গর্ভে তাদের ঘরবাড়ি বিলিন হতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত সেখানে কেনো নদী রক্ষা বাঁধ নির্মান হয়নি । জরুরী ভিওিতে উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা ।
কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙন কবলিতদের পাশে থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও ফারজানা খানম জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাড় ভেঙে বেশক’টি ঘর বিলিন হয়ে গেছে খবর পেয়েছি। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দেন তিনি।