পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জমি থেকে জোরপূর্বক বোরো ধান কেটে নেয়ার সময় বাধা দেয়ায় ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রী এবং ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার সকালে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড় বিশাকোল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য নবীর উদ্দিন ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য নবীর উদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা খাতুন পৈতৃক সূত্রে বড় বিশাকোল গ্রামে ১.৪ একর বোরো ধানের জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছে। কিন্তু একই গ্রামের সাজেদা খাতুনের বংশের শহীদ মোল্লা, নান্নু মোল্লা, সাবান মোল্লা ও সলিম মোল্লা সহ অন্তত ১৩ জন ব্যক্তি ওই জমি জোরপূর্বক দখল করতে গত তিন বছর ধরে পাঁয়তারা শুরু করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে নবীর উদ্দীন এর আগে থানায় মামলাও করেছেন। চলতি মৌসুমে নবীর উদ্দিন ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করে। জমির ধান পাকতে আরো দেড় সপ্তাহ লাগবে। এ অবস্থায় সোমবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে জমির আধা পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে নবীর উদ্দিন গিয়ে বাধা দিলে তাকে মারধর শুরু করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও ছেলে শাহজাহান আলী নবীর নবীর উদ্দিনকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে ধান কেটে নিয়ে যায় শহীদ মোল্লা ও নান্নু মোল্লার লোকজন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে এদিন বিকালে নবীর উদ্দিন ভাঙ্গুড়া থানায় ১৩ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। এতে সম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে বলে জানা যায়। তবে আজ সোমবার জোরপূর্বক ধান কাটতে বাধা দেয়ায় ওই ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।