সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নে মাঠে মাঠে এখন সোনালী ধানের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে সোনার রং ধারণ করে আছে পাকা ধান। কৃষকের ঘরে ইতি মধ্যে উঠতে শুরু করেছে ইরি-বোরো ধান। ফলন বাম্পার হওয়ায় অনেকটাই খুশি তাড়াশের কৃষকেরা । হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছি কৃষক-কৃষানীর মুখে। যদিও বা করোনা মহামারী নিয়ে অনেকটাই শমিক সংকট ও দাম নিয়ে আতৎকে ছিল কৃষকেরা। তবে সরকারি সহযোগীতায় পর্যাপ্ত শ্রমিক মাঠে থাকায় এবং নতুন ধানের বাম্পার ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় অনেকাই যেন স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ২২ হাজার ৬ শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলার কাটাগারি গ্রামের গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন,‘অন্যান্য বারের চেয়ে এবার আমরা অনেক বেশি ইরি বোরো ধান চাষ করেছি। ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে । দামও মোটা মুটি ভাল। উপজেলার বড় মাঝ দক্ষিনা গ্রামের কৃষক আজিুজুর রহমান বলেন,‘জমিতে সময় মতো পানি দেওয়ায় ধান ভাল হয়েছে। এবার ঝড় বৃষ্টি না হলে ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবো । এর ফলে আমরা অনেক উপকৃত হব।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলামিন হোসেন বলেন,‘ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক যাতে লাভবান হয় সে জন্য আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদেও নির্দেশে ফসলের দিকে সার্বক্ষণিক নজর রেখেছিলাম। যেখানেই সমস্যা দেখা গেছে সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছি।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, তাড়াশ উপজেলায় ২২হাজার ৭শত ৫০ হেক্টও জমিতে ইরি বরো ধানের চাষ করার লক্ষ্য থাকলেও আমরা ২২ হাজার ৬ শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করতে পেরেছি। ‘অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়েছি। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের ফলন হবে। শ্রমিকের কোন সংকট নেই । উপজেলায় সঠিক সময়ে পাকা ধান কাটছে প্রশাসনিক ভাবে শ্রমিক আসতে সহযোগিতা করা হয়েছে