বিশ্বনাথে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক!

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববাসীর ন্যায় বাংলাদেশের মানুষও আতঙ্কিত। চারদিকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এরমধ্যে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে এমন দৃশ্যে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ যখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চোখ রাখেন তখনই মাথা ন্যাড়া করার বিভিন্ন পোস্ট ভেসে আসে চোখের সামনে। দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিনই উপজেলার কেউ না কেউ মাথা ন্যাড়া করে ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করছেন। রীতিমতো একে অপরের দেখাদেখিতে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়ে গেছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সেলুনগুলো বন্ধ থাকায় মাথার চুল ফেলে দিচ্ছেন বলে কয়েকজন ন্যাড়া করা ব্যক্তি জানান।এদিকে, স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীও মাথা ন্যাড়া করছেন। তারা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউন ঘোষণা না করলেও বিনা প্রয়োজনে জনসাধারণকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লোকজন তারা নিজেরাই নিজেদের এলাকা লকডাউন করে ফেলছে। বাড়ি এবং গ্রামের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এখন প্রায় সবাইকে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতি কতদিন পরে স্বাভাবিক হবে এই নিশ্চয়তা নেই। তাই এই সুযোগে তারা মাথা ন্যাড়া করে নিচ্ছেন।উপজেলার কারিকোনা গ্রামের মামুন মিয়া, ইমরান আহমদ সুমন, ইমন মিয়া জানান, বিশ্বনাথ বাজারে সকল মার্কেট বন্ধ থাকায় বাড়িতে থাকা হচ্ছে এবং সেলুন বন্ধ থাকায় চুল কাটার ঝামেলা এড়াতেই মাথা ন্যাড়া করা হয়।নিজাম উদ্দিনে নামে একজন কর্মজীবি জানান, সরকারি নির্দেশনায় এখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সেলুনগুলোও বন্ধ। দীর্ঘদিন সেলুনে যেতে না পারায় মাথায় চুল বেড়ে যাচ্ছে। গরমের এই সময়ে মাথা চুলকাচ্ছে। তাই বাড়িতে বসেই মাথা ন্যাড়া করে ফেলছেন বলে তিনি জানান।উপজেলা সদরের পুরান বাজারে অবস্থিত বিধান বৈদ্য সেলুনের স্বত্বাধিকারী বিধান বৈদ্য বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে চুল ছাঁটানোর জন্য দু-একজন ফোন দিচ্ছেন। পরিচিত মানুষ হলে বাড়িতে গিয়ে চুল কেটে দিয়ে আসছি। এ জন্য একটু বেশি টাকা দিচ্ছে।’ ‘সেলুন বন্ধ। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। সরকারি সহায়তা পাওয়ায় কষ্ট কিছুটা কমেছে। এ সহায়তা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।