ইয়ানূর রহমান : করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাইরের থেকে কোন পরিবহন যশোর শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। একই সাথে শহর থেকে কোন পরিবহন বাইরেও যেতে পারবে না।
শহরে চলাচলরত ইজিবাইক ও রিকসা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও পন্যবাহী পরিবহন এ নিয়মের বাইরে থাকবে।
যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কমার রায়, সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু শাহীন, লে. কর্নেল নেয়ামুল হালিম খান, যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের প্রতিনিধি মেজর কামরুজ্জামান, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন সিকদার, পৌরসভার পক্ষে বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা তাসলিমা খাতুন প্রমুখ।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, যশোর শহর লকডাউন বলা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো যশোরে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য কুইন্স, ইবনে সিনা ও জেনেসিস হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা পর্যায়ে ২শ বেড প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ৩০ টি এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার, জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ৷
প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক যে কোন হাসপাতাল বা ভবনকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। নির্ধারিত তিনটি হাসপাতালকে লোকবল এবং চিকিৎসা উপকরণ দিয়ে সহায়তা প্রদানের জন্যে চিঠিও প্রেরণ করা হয়েছে।#