বেনাপোলে সংখ্যালঘু গৃহবধুকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতা আটক

ইয়ানূর রহমান : মধ্যেরাতে মদ্যপ অবস্থায় সংখ্যালঘূ পরিবারের গৃহবধুকে শ্লীলতাহানী ও মারপিটের অভিযোগে গনপিটুনির শিকার বাবু সরদার নামে
এক আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১ টার সময় বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত বাবু সরদার বেনাপোল পৌরসভার ছোটআচঁড়া গ্রামের মৃত আকবর আলী ওরফে ক্লে আকবার এর ছেলে, এবং শ্লীলতাহানীর শিকার রিতা
সরকার একই গ্রামের রবীন সরকারের স্ত্রী।
রবীন সরকার জানায়, তার স্ত্রী রিতা সরকার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ায় রাত ১ টার সময় ঘরের বাহিরে বাথরুমে যায়। বাথরুম সেরে সে বের হলে
স্থানীয় বাবু সরদার মদ্যপ অবস্থায় তাকে কাপড় ধরে টানা টানি করে। এসময় তার স্ত্রী চেচামেচিতে ঘর থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে বাবু সরদারের হাত থেকে
রক্ষা করতে গেলে তাকে লাইট দিয়ে বাবু সরদার আঘাত করে। এসময় তার স্ত্রী তাকে ঠেকাতে গেলে স্ত্রীর মাথায় ও লাইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর যখম করে।
তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাবু সরদার দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্ত্রীকে শার্শা উপজেলা ( বুরুজ বাগান ) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে
বলে তিনি জানান।
ঘটনার শিকার রীতা সরকার বলেন, বাবু সরদার খারাপ কাজের উদ্দ্যেশ্য আমাকে গভীর রাত্রে কাপড় ধরে টানা টানি করে। এসময় সে মদ্যপান করা অবস্থায় ছিল।
স্থানীয় বেনাপোল পৌর পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শান্তিপদ গাঙ্গুলী বলেন, গভীর রাত্রে চিৎকারের শব্দে ঘর থেকে বের হলে, বাবু সরদার দৌড়ে এসে আমার মাথায়ও লাইট দিয়ে আঘাত করে। আমি দ্রুত ঘটনাটি শুনে থানায়
ফোন করলে থানা থেকে বাবু সরদারকে আটক করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে রিতার স্বামী রবীন সরকার বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় শ্লীলতা হানীর
অভিযোগ দায়ের করেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, রাত্রে ঘটনা শুনে পুলিশ
পাঠিয়ে বাবু সরদারকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানায় রিতার স্বামী রবীন সরকার বাদী হয়ে শ্লীলতাহনীর অভিযোগ করেছেন। আসামিকে যশোর আদালতে পাঠানো হবে।