বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় শ্রমিক নেতা অরবিন্দু ওঝা নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘাতক গাড়ি আটক
করেছে পুলিশ। চালককে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সকল ইজিবাইক বন্ধ করে বুধবার দুপুরে ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
করেছে শ্রমিকেরা। এসময় মহাসড়কের দু’পাশে আটকা পরে শতাধিক পরিবহন ও ট্রাক।
শ্রমিক নেতা অরবিন্দু নিহতের ঘটনায় আগৈলঝাড়া ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি
মিন্টু সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে দুপুরে আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের দূর্ঘটনাস্থল বড়মগড়া বড়াবাড়ি ও পয়সা এলাকায় সড়ক
অবেরোধ করে অবৈধ ট্রলি চালক রাসেল বয়াতিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান। অভিযুক্ত চালক গ্রেফতার না হওয়া
পর্যন্ত উপজেলায় অবৈধ সকল ট্রলি চলাচল বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন, সংশ্লিষ্ট বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল চন্দ্র দাস,
স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফিরোজ সিকদার ঘটনাস্থলে যান। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওসি অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতারের মাধ্যমে
বিচারের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকেরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধায় আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়মগড়া বড়াবাড়ি এলাকায় বালুবাহী
অবৈধ ট্রলি রাতের আঁধারে হেডলাইট ও হর্ন ছাড়া মোবাইলের আলোতে চালাচ্ছিল বালু ব্যবসায়ী জলিল বয়াতির ছেলে রাসেল বয়াতি।
ওই অবৈধ ট্রলির সাথে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের সাখে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে চালক অরবিন্দু ওঝা (৪২) ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা কোটালীপাড়ার মিজানুর রহমান ওরফে দয়াল (৫০) গুরুতর আহত হয়। আহত অরবিন্দুকে চালক রাসেল উদ্ধার না করে পাশের ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহতাবস্থায় অরবিন্দুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে সেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল
শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হলে শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অরবিন্দুকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত অরবিন্দু পয়সা গ্রামের অনিল ওঝার ছেলে ও আগৈলঝাড়া ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আহত মিজানকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই এসআই শাহজাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে
বালুবাহী ট্রলি ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া নসিমন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি এবং ঘাতক নসিমন চালককে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন।