রাশেদ রাজন: শিবির পাইলেই গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে হবে।” নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ কর্মী ও খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ আহ্বান জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দলীয় টেন্ট থেকে মিছিলটি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে একই জায়গায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি।
এসময় রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু’র সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, “কিছুদিন পরেই আমরা মুজিব বর্ষ পালন করতে যাচ্ছি। তার কয়েক দিন আগেই আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলার ভূখন্ডকে। ইতিমধ্যে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবিরমুক্ত করেছি। কিন্তু এই ভূখন্ডকে তারা আবারো রক্তে রঞ্জিত করার পায়তারা করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে তখনি সে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের, যারা প্রগতিশীলতার চর্চায় বিশ্বাসী, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় নিয়ে কথা বলে, সে সংগঠনের নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করেছে, নিহত করেছে। আমি বলে দিতে চাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিমাত্র শিবির থাকবে না। আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে বলে দিতে চাই সে আঘাতটি যেনো আমিই প্রথমে করি। আমাদেরও অনেক নেতাকর্মীকে তারা হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করে তারা জীবন-মরণের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমাদের রক্ত কি রক্ত নয়?আর কতো রক্ত গেলে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শিবিরকে আপনারা যেখানেই পান আপনারা তারে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করবেন। এবং আমাদেরকে জানাবেন আমরা যেনো তাৎক্ষণিকভাবে তার জবাব দিতে পারি।”
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, সুপ্ত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত রাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।