চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের সুযোগ রেখে হজ প্যাকেজের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-২ এর আওতায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-৩ এর আওতায় খরচ পড়বে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজে যাওয়া যেত। সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য এবার প্রথম বারের মতো প্যাকেজ-৩ প্রস্তাব করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার প্যাকেজ-১ এ খরচ বেড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। প্যাকেজ-২ এ খরচ বেড়েছে ১৬ হাজার টাকা।
এই তিনটি প্যাকেজ অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোকে যাত্রী পরিবহন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে এসব প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীরা পবিত্র মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে, প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ ১৫০০ মিটারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-৩ এর হজযাত্রীরা ১৫০০ মিটারের অধিক দূরত্বে অবস্থান করবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ বছর হজযাত্রীদের কাছ থেকে বিমানের টিকিট বাবদ গৃহীত অর্থ এজেন্সির ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবে না। হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী সরাসরি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে হবে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন বাবদ গৃহীত অর্থ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরে (আইবিএএন) সৌদি আরবে প্রেরণ ব্যতীত এজেন্সি উত্তলন করতে পারবে না।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এ বছরও শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং জাতীয় ডিজিটাল কমার্স (সংশোধিত) নীতিমালা-২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।