চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করার তথ্য উঠে এসেছে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সালমান শাহ রহস্যজনক মৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি তদন্তে। আমরা সালমানের সেই সময়ের স্ত্রী সামিরাসহ সন্দেহভাজনদের বক্তব্য নিয়েছি। সবমিলে এটিই প্রতীয়মান হয়েছে যে, পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পারায় আত্মহত্যা করেন সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
যে পাঁচ কারণে সালমান শাহর ‘আত্মহত্যা’
পারিবারিক কলহের জেরে চিত্রনায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। এতে আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হয়।
সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সালমান শাহর আত্মহত্যার পাঁচ কারণ:
১. সালমান শাহ ও নায়িকা শাবনূরের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।
২. স্ত্রী সামিয়ার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ।
৩. মাত্রাধিক আবেগের কারণে সালমান শাহের একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা।
৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেওয়া।
৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।
পিবিআই প্রধান বলেন, ২০১৬ সালে পিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে। আমরা সালমানের সেই সময়ের স্ত্রী সামিরাসহ সন্দেহভাজনদের বক্তব্য নিয়েছি। সবার জবানবন্দি গ্রহণ করতে বেশি সময় লেগেছে।
এদিকে সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম পিবিআইয়ের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে অনেক ভুল রয়েছে। সেই সঙ্গে তদন্তকারী দলের গাফিলতিও রয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।