কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভার অনুমতি পুলিশ না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বিজেপি৷শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)সেই ইঙ্গিত দিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে সভা করতে ১ মার্চ কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। সভা করার কথা শহিদ মিনারে। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের। শাহর সভায় সেনাবাহিনীর অনুমতি মিলেছে বৃহস্পতিবারই। ওই দিন লালবাজারের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। তবে সেই অনুমতি মেলেনি ।
সায়ন্তন জানিয়েছেন, পুলিশ অমিত শাহর সভার অনুমতি না দিলে আদালতে মূলত তিনটি যুক্তিকে তুলে ধরবে তারা।
প্রথমত, ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে সভা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেইসময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল৷ পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ২৭ মার্চ৷ বিজেপির প্রশ্ন, একই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী যদি সভা করার অনুমতি পান তাহলে অমিত শাহ পাবেন না কেন? তারাও এটাও উল্লেখ করেছে যে, ১ মার্চ অমিত শাহর সভার দিন কোনও পরীক্ষা নেই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও পরে শুরু হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, সভার অনুমতি না দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়মকে হাতিয়ার করছে৷ তাদের বক্তব্য, পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা চলাকালীন রাজ্যের কোনও প্রান্তেই মাইক বাজানো যায় না। কিন্তু বিজেপির যুক্তি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে নির্দেশিকায় রয়েছে, পরীক্ষার তিনদিন আগে মাইক বাজানো যাবে না। এক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, ২৭ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১২ মার্চ। তাহলে ১ মার্চ সভার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। উল্লেখ্য, শুক্রবারই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে পুলিশ কর্তারা বৈঠক করার পর জানিয়ে দিয়েছেন, শহিদ মিনারে ওই সময়ে কোনও সভারই অনুমতি দেওয়া যাবে না।
তৃতীয়ত, প্রতি বছরই পরীক্ষার মরশুমের আগে রাজ্য সরকার একটা নোটিফিকেশন জারি করে। সেখানে লেখা থাকে, পরীক্ষার মরশুমে ‘রেসিডেন্সিয়াল’ এলাকায় মাইক বাজানো যাবে না। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের দাবি, শহিদ মিনার ময়দান ‘নন রেসিডেন্সিয়াল’ এলাকা। এই তিনটি যুক্তিকে খাড়া করেই হাই কোর্টে মামলা দায়ের করবে বিজেপি। তবে সবটাই নির্ভর করছে কলকাতা পুলিশের অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার উপর।