কর্মীসভা না করে টাকার বিনিময়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের মত রাতের আঁধারে সিলেটের বিশ্বনাথে তিনটি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে অভিযোগ করে কমিটিগুলো অনতিবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) গণমাধ্যমে প্রেরিত উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির ১৫জন দায়িত্বশীল সাক্ষরিত বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাওছার আহমদ, সেলিম মিয়া, মুজিবুর রহমান মঞ্জু, সালমান রাব্বানী, লিটন দে, আলী আহমদ জুয়েল, নজরুল ইসলাম প্রিন্স, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ বুরহান আহমদ রুবেল, শাহ সাইদুল ইসলাম সুজা, সাজু আহমদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরান আহমদ, জুবায়ের আহমদ জয়, মতিউর রহমান নোমান, রাজন মিয়া, মাসুদ আহমদ।বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ১৩ ফেব্রুয়ারী বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কার্যকরী কমিটিকে অবহিত না করে কোনো কর্মীসভা ছাড়াই টাকার বিনিময়ে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে লামাকাজী, দৌলতপুর এবং দেওকলস ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন। ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে উপজেলা ছাত্রলীগ ও ওই তিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে তারা আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি-জামাত পরিবারের সন্তান এবং অছাত্র হলেও ছাত্রলীগের নেতা হওয়া যায়?বিবৃতিতে তিন ইউনিয়নে ঘোষিত কমিটির সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটি (বিবৃতি প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ) ও তৃণমূল ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগকে অনুপ্রবেশকারীদের সংগঠনে রুপান্তরিত হওয়া থেকে উত্তরণের জন্যে কমিটিগুলো বাতিল করে কর্মীসভা এবং সম্মেলনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব গঠন করতে (জেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায়) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খাঁন জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।