সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের সামনে রহস্যজনকভাবে কলাপশিবল গেইট নির্মান করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের কেউ জানেন না। এমনকি কারো অনুমতিও নেননি (পিআইও) মাহবুব আলম শাওন ভূঞা। হঠাৎ আলাদা গেইট কেন নির্মান করা হল এনিয়ে জনমনে সন্ধেহ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ ভবনের নীচ তলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস ছাড়াও রয়েছে সমবায় অফিস, মৎস্য অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস। কিন্তু হঠাৎ কলাপসিপল গেইট নির্মাণ করে অন্যান্য অফিস থেকে পিআইও অফিস আলাদা করায় চলছে নানা সমালোচনা। অনুমতি ছাড়াই গেট নির্মাণ করে অফিস আলাদা করা নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যেও চলছে কানাঘুষা। বুধবার সকালে নিজ নিজ অফিসে গিয়ে অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তারা সকলেই হতবাক হয়েছেন বলে জানাগেছে।
পিআইও অফিসে গিয়ে কাউকে না পেয়ে পাশের সমবায় অফিসে গিয়ে দেখা হয় উপজেলা সমবায় সহকারী কর্মকর্তা টিটু চক্রবর্তির সঙ্গে। তার অফিসের পাশেই পিআইও অফিসে গেট নির্মাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই সকাল থেকে অফিস ষ্টাফসহ লোকজন এসেই জানতে চান এখানে গেইট কেন? এই গেইটের জবাব দিতে দিতেই আমার সারাদিন পার হয়েগেছে। তার অফিস থেকে বের হয়েই দেখা হয় উপজেলা প্রকোশলী হারুনুর রশীদ ভূইয়ার সঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, মাঝেমধ্যে ওই অফিসে অনেক কম্বল আসে, হয়তবা সেগুলোর নিরাপত্তার জন্য এই কলাপসিপল গেইট নির্মাণ করে পিআইও অফিস আলাদা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: মাহবুব আলম শাওন ভূঞা বলেন, অফিসের নিরাপত্তার জন্য তিনি কলাপসিপল গেইট লাগিয়ে তার অফিস আলাদা করেছেন। আর এজন্য তিনি স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানের নিকট থেকে ৫৫ হাজার টাকাও বরাদ্ধ নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো: কামরুজ্জামান এ বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি। তবে, নিরাপত্তার জন্য হয়তবা গেইট নির্মাণ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, পিআইও অফিসে আলাদা গেইট নির্মাণের প্রশ্নই উঠে না। আর এব্যাপারে কোন অনুমতিও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।