সমসাময়িক বাংলাদেশে ইসলামী বক্তা হিসাবে জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার পাঁয়তারা করার অপরাধে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ইতিমধ্যে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন।
এরিমধ্যে একটি বিলাসবহুল গাড়ি ইস্যুতে আজহারীকে নিয়ে আবারো সমালোচনা শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামায়াত বিএনপির এজেন্ট হিসাবে ইসলামী মাহফিলের নামে ড. মিজানুর রহমান আজহারীকে এই গাড়িটির যোগানদাতা মূলত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন, লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান। এই তারেক রহমানের নানা অপকর্মের অংশীদার সহিদুজ্জামান তরিক।
সূত্র জানিয়েছে, সহিদুজ্জামান তরিক মূলত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের হয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার করে। বাংলাদেশের ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদিও এই তরিকের মাধ্যমে এসেছিল। সিঙ্গাপুরের ম্যারিনা বে ক্যাসিনোতে নিয়মিত বসে হুন্ডির ব্যবসায়ী করে যাচ্ছেন সহিদুজ্জামান তরিক। সহিদুজ্জামান তরিকের বড় ভাই শরিফ চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলো গত জাতীয় নির্বাচনে।
অভিযোগ রয়েছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে তরিক বাংলাদেশের মুদ্রাপাচারের অন্যতম প্রধান এবং ব্যাংক লুটেরাদের টাকাও তার মাধ্যমে পাচার হয়।
এদিকে, মিজানুর রহমান আজহারী মাহফিল স্থগিত করে গবেষণার কাজে মালয়েশিয়া চলে গেছেন। সেখানে গিয়েই পুরনো দোসর সহিদুজ্জামান তরিকের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে আজহারীর গাড়ি চালানোর কিছু দৃশ্য।
ছবিতে দেখা গেছে, মিজানুর রহমান আজহারী একটি ‘বেন্টলি’ গাড়ি চালাচ্ছেন যার বাজারমূল্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিলাসবহুল গাড়ি আজহারীর নয় এবং তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়ে এ গাড়ি চালাননি। ছবিগুলো তার সম্প্রতি তোলা নয়ও বলে জানা গেছে। মূলত এ গাড়িটি আজহারী চালিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। আর গাড়ির মালিকের নাম – সহিদুজ্জামান তরিক।
এদিকে সহিদুজ্জামান তরিকের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সাহিদুজ্জামান তরিক সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। তার দেশের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। ছয়-সাত মাস আগে তরিকে নিমন্ত্রণে এক মাহফিলে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান মিজানুর রহমান আজহারী। এরপর থেকেই ফিরে এসে তারেক রহমানের পরামর্শ নিয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নামেন। যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে বিভিন্ন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আজহারী।
সুত্র : ভোরের পাতা (১২-ফেব্রুয়ারী-২০২০ ০৪:৪২ অপরাহ্ন)