নাটোরের বড়াইগ্রামে কবিরাজি ওষুধ খেয়ে রোগির মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে করিবাজি ওষুধ খেয়ে রহমত আলী (৫০) নামে এক রোগির মৃত্যু হয়েছে। রহমাত আলী উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে। সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।স্থাণীয় ইউপি সদস্য মোবারক আলী জানান, রহমত আলী হাটুর ব্যাথার চিকিৎসার জন্য বাগডোব গ্রামের কবিরাজ নরেশ চন্দ্রর নিকট থেকে পুড়িয়া আনেন। সেই পুড়িয়া রোববার বিকেলে খেলে তার পাতলা পায়খানা শুরু হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে রহমান আলীকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখানে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল আটটার দিকে মারা যান। বড়াইগ্রাম হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ হেল কাফী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করে বলেন, রহমন আলী ড্রাগ রিয়েকশানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি ভুল ওষুধ খাওয়ার কারণেই মারা গেছেন।কবিরাজ নরেশ চন্দ্রর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে বাত-বেথা, পারালাইজড রোগের কবিরাজি ও হাকিমি চিকিসা করি। কোনদিনতো রোগির মৃত্যু হয়নি। রহমাত আলীও আমার কাছে বাত বেথার জন্য ওষুধ নিয়েছিল। ওই ওষুধ খেয়ে মারা যাওয়ার কথা নয়। অন্যকোন কারনে মারা গিয়ে থাকতে পারেন।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে আমি নিহত রহমাত আলীর বাড়ি গিয়ে জেনেছি সে রোববার কবিরাজি ওষুধ খেয়েছিলো। আসল ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে কাজ শুরু করা হয়েছে