মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি ঃ
পাবনার চাটমোহর ছাইকোলা ইউনিয়নের বরদানগর গ্রামে সেচযন্ত্র স্থাপন ও চাষাবাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি শহিদুল ইসলাম। স্কিম নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত করা হলেও ভুক্তভোগী স্কিম মালিক কোন সমাধান পাননি। বরং এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
২৯ জানুয়ারি বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চাটমোহর পুরাতন বাজারস্থ একটি বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বরদানগর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলামের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোলাম রব্বানীর ছেলে তারেকুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ছাইকোলা ইউনিয়নের মেম্বর বরদানগর গ্রামের জুব্বার প্রামানিকের ছেলে মোঃ আব্দুল ওহাব ও আজির মোল্লার ছেলে মোঃ আজাদ হোসেনের সাথে যৌথভাবে সেচ স্কিম পরিচালনা করতেন মোঃ শহিদুল ইসলাম। কিন্তু বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে আব্দুল ওহাব আতœসাত করেন। এনিয়ে গ্রামে ও থানায় সালিশ বৈঠক হয়। তখন মোঃ শহিদুল ইসলাম আলাদাভাবে সেচস্কিম বসায়। এজন্য উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেচযন্ত্র চালু করেন। কিন্তু আব্দুল ওহাব এই স্কিমের ভেতর ডিজেল চালিত স্যালোমেশিন চালু করে চাষাবাদে বাধা সৃষ্ঠি করছেন। শুধু তাই নয় আব্দুল ওহাব বারবার উপজেলা অফিসে ও বিদ্যুৎ অফিসে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে শহিদুল ইসলামকে হয়রানী করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, নিজে সেচ স্কিমের অনুমোদন না পেয়ে শহিদুল ইসলামের লাইসেন্স বাতিল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন আব্দুল ওহাব। এতে ব্যর্থ হয়ে সে ডিজেল চালিত স্যালোমেশিন বসিয়ে চাষাবাদে বিঘœ সৃষ্টি করাসহ জমির মালিকদের ও শহিদুল ইসলামকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ গিয়ে আবারো শহিদুল ইসলামকে হয়রানী করা হচ্ছে। ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব শহিদুল ইসলামের স্কিমের জন্য তৈরি ড্রেন দিয়ে পানি দিতে দিচ্ছেন না। যেসব জমির মালিক তার আওতায় আসবে না তাদের জমি পতিত রাখার হুমকি দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা অফিস ও বিদ্যুৎ অফিস অন্ততঃ ১০ বার তদন্ত করে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে। আমার নিজেস্ব জমিতে লাইসেন্স, সেখানে আমি ১৪ বছর যাবত স্কিম করে আসছি। আমার নিজের নামে স্কিম। তার পরেও আমি স্কিম করতে পারছিনা। নিজের জমিতে নিজের ড্রেন দিয়ে পানি দিতে পারছি না। ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব বারবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। শহিদুল ইসলাম ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে অনুমোদনবিহীন সেচযন্ত্র স্থাপন ও হুমকি দেওয়ার তদন্ত দাবি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।