খায়রুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ ঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দিন দিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে। যানজট ও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এই শহরটি, দেখার কেউ নেই।
ট্রাফিক পুলিশের ও দালালদের একাত্মতার কারণে পৌরসভা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন, কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ ও পৌরসভার কাজ কি? অন্যদিকে পৌর মেয়রের দিকে আঙ্গুল তুলছে এক শ্রেণির বাসিন্দারা। তারা প্রকাশ্যে কথা বললেও কোন ফল হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, জেলা শহরের পৌর এলাকায় পৌরসভার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন এত অবহেলা এ বিষয়ে জনমনে রয়েছে নানার প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পৌরসভার নিয়মনীতি মেনে চলার জন্য অটো রিকসার অনুমোদন দিয়েছি। বাহির থেকে আসা অটো নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কি করে পৌর এলাকায় প্রবেশ করে তা ট্রাফিক বিভাগই জানে। অন্যদিকে পৌরসভার সাইনবোর্ডে গেঞ্জি পরিহিত লোকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব লোক আমার নয়। অন্যদিকে প্রশাসন থেকেও তাদের দেওয়া হয় নি। তাহলে তারা আসলে কার লোক? সরেজমিনে শহর ঘুরলে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশদের সাথে মিলেমিশে একাকার ঐ চক্র। তাদের বিষয়ে প্রশাসনসহ পৌরসভার রয়েছে নিরব ভূমিকা। যার দরুন পৌরসভায় বসবাসরত নাগরিকদের পোহাতে হচ্ছে নানাবিধ সমস্যা। ঐদিকে বিভিন্ন ব্যানারে নিয়োজিত পৌরসভার যানবাহন নিয়ন্ত্রণকারী দালালচক্রদের নিয়ে টিআই করিমের অবৈধ অর্থ বাণিজ্যের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় টনক লড়েছে কিশোরগঞ্জ প্রশাসনে। যার ফলে টিআই করিম দালালচক্রদের নিয়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে। হুমকির বিষয়ে টিআই করিমের সাথে দৈনিক বর্তমান পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কথা বললে প্রথমে তিনি বলেন, আপনাদের বিষয়ে তো কোন আপত্তি নেই। যিনি সংবাদ প্রকাশ করেছেন, তার কিছু হলে আপনাদের সমস্যা কি?