প্রায় চার বছর ধরে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করে মালিকের প্রিয় কর্মচারীতে পরিণত হন সবুজ আলী (২৮) নামে এক কর্মচারী। এ বিশ্বস্ততার ওপর ভর করে গত রবিবার দুপুরে মালিক কর্মচারীকে দিয়ে মহাজনের নাম্বারে টিটি করার জন্য নগদ ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আর ত্রিশ হাজার টাকার চেকসহ ন্যাশনাল ব্যাংক নাটোর শাখায় জমা দেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেন । যথারীতি কর্মচারী ব্যাংকে গিয়ে ত্রিশ হাজার টাকার চেক জমা দেন । কিন্তু সে একাউন্টে টাকা না থাকায় সে চেকটি এবং টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যায় । আর কর্মচারীর ভরসায় মালিক ব্যবসায়িক কাজে নাটোরের বাইরে চলে যায় । আর এ সুযোগে প্রায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেন ওই কর্মচারী।
নাটোর শহরের বগুড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মেসার্স তাসনীম ফল ভান্ডার নামের এক ফল ব্যবসায়ীর প্রতিষ্টানে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে মহাজন টাকা পাননি বলে জানালে দোকানে এসে কর্মচারীকে আর খুঁজে পাননি মালিক। মহাজন জানানোর পর চুরির ঘটনা নিশ্চিত হন তিনি।
ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিকজানান মালিক জাঙ্গাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় চার বছর ধরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার শান্তানগর (কলম ) গ্রামের করিম ফকিরের ছেলে সবুজ আলী নামের এক কর্মচারী তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। সে সুবাধে বেশ বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছিলেন। মাঝে মধ্যে তাকে মহাজনের কাছে টাকা টিটি করাতে ব্যাংকে পাঠাতেন ।গত রবিবার দুপুরে তিনি সবুজ আলীকে টিটি করাতে পাঠিয়ে জরুরি ব্যবসায়িক কাজে নাটোরের বাইরে যান । এ সময় ওই কর্মচারীরা ব্যাংকে গেলেও টাকা জমা না দিয়ে পালিয়ে যান। তিনি বিকেলে মহাজন ফোন টাকা পাননি বলে জানালে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
জাঙ্গাঙ্গীর আলম বলেন, ওই কর্মচারী দীর্ঘদিনের বিশ্বস্তকার কারণে টাকা পয়সা আদায় এবং ব্যাংকের টিটির টাকা জমা দেওয়ার কাজ মাঝে মধ্যে করতো । ব্যাংকের সিসিটিভ ফুটেজেই তাকে ব্যাংকে চেক জমা দিতে এবং টাকার ব্যাগসহ দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে দেখা যায় । সবুজের গ্রামের বাড়িতে খোঁজ করে তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দীন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কর্মচারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।