রফিকুল ইসলাম সুইট : দীর্ঘকাল আন্দোলন সংগ্রামের পর শহরের মধ্য দিয়ে এককালের স্রোতস্বিনি নদী ইছামতি প্রবাহমাণ করতে দুপারের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযাণ শুরু করেছে প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা নদী, জলাশয় দখল দূষণ মুক্ত করার ঘোষণায় দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন পাবনা ইছামতি নদীর দুই পাড়ে অবৈধ স্থাপনা এবং বৈধ স্থাপনা ও উচ্ছেদ করছেন। সোমবার পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের নেতৃত্বে প্রশাসন ডিসি রোডের ব্রিজ থেকে অবৈধ দখলদারদের পাকা বাড়ি ঘড়সহ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান , পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম , সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, পাউবো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, পাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ অভিয়ানকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি অভিযান বন্ধের শংকা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এদিকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে কঠোর মনোভাবের কারণে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের প্রচার চালানোয় নদী পাড়ের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নিজ খরচে তাদের ২য় তলা, ৩য় তলা বাড়ি ভেঙ্গে নদীর জায়গা ছেড়ে দেন । সকালে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ যখন শুরু করা হয় তখন ডিসি সড়কে ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের উদ্যোগে নদী সচলের দাবিতে মানববন্ধণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি এস এম মাহবুব আলম ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
পাবনাবাসী দীর্ঘকাল ধরে ইছামতি সচলের দাবিতে মানববন্ধণ,স্মারকলিপি,কাফনের কাপড় পড়ে মানববন্ধণ,অনশন, গণস্বাক্ষর, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছেন। দীর্ঘকাল পর ইছামতি সচলের সিদ্ধান্তে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন- নদী উদ্ধার একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। ১০০শ বছর ধরে ইছামতি নদী দুষণ ও দখল হয়েছে। এটির উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পুরো কাজটি করতে সময় লাগবে। ইছামতি নদী উদ্ধারের জন্য পাবনাবাসীর সহযোগীতা প্রয়োজন। পাবনা বাসীর সহযোগীতা পেলে অবশ্যই ইছামতি নদী উদ্ধার হবে। অবৈধ দখলকার যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কেউ ছাড় পাবে না।