মহান বিজয় দিবসে ঈশ্বরদীতে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মহান বিজয় দিবসে চরমিরকামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মোস্তফা কামালের উপর হামলায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি । বৃহ¯পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সমানের সড়কে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিতা হয়।
সমিতির ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি মাসুদ হামিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ স¤পাদক হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সমিতির আরিফুল ইসলাম আরিফ, রকিবুল ইসলাম, সদস্য সুজাতা ইয়াসমিন, চরমিরকামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম শরীফ, অরণকোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সেলিম, সিপিবি’র পাবনা জেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক কমরেড আহসান হাবিব, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি জমসেদ আলী, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক প্রভাষক আব্দুল বাতেন, শিক্ষক ও অভিভাবক সমিতি (পিটিএ) সভাপতি এ.কে করিম, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের ঈশ্বরদী পৌর কমিটির সাধারণ স¤পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কবির হোসেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষক সমিতির নেতারা শিক্ষকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে সনাক্ত এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতিতে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন ।
প্রসঙ্গত: ১৬ই ডিসেম্বর চরমিরকামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় শিক্ষার্থীদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে তিন দফা পিটিয়ে আহত করা হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এ কে করিম জানান, ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম মনসের খানকে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টুকে প্রধান অতিথি করেন। এনজিও নিউ এরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর রহমান বিশ্বাসকে প্রধান অতিথি না করায় তাঁর পক্ষের লোকজন জাতীয় পতাকা অবমাননার ইস্যু তৈরী করে প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালকে শিক্ষার্থীদের সামনে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত করে। পরে ওই শিক্ষককে ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি মঞ্জুর রহমান বিশ^াস জানান, প্রধান শিক্ষককে কে বা কারা প্রহার করেছে তা তিনি জানেন না। জাতীয় পতাকা অবমাননা করায় এলাকাবাসীর সাথে ঝামেলা হতে পারে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবী করেন এই সাবেক এমপি।