তিস্তার চরবাসির দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব এব স্বপ্ন বাস্তবায়নে নির্মাণ হচ্ছে সেই রামডাকুয়া সেতু। গত ৮ মাসে নির্মাণ কাজের তেমন একটা অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। আগামী বন্যার আগে সেতুর কাজ শেষ করার দাবি এলাকাবাসির। নির্মাণ কাজের ৪০ ভাগ সম্পন্ন হতে না হতেই মেয়াদকাল শেষ হতে বসেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড ৯৬ মিটার লম্বা পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করছে। নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার রামডাকুয়া মহল্লার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর নির্মাণ করা হচ্ছে সেতুটি। উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর সহ পাশ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারি উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামবাসি প্রতিদিন রামডাকুয়ার শাখা নদী দিয়ে পায়ে হেঁটে, নৌকা যোগে কষ্ট করে উপজেলা শহরে আসা যাওয়া করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান ইস্টিমেট ছাড়াই একটি সেতু নির্মাণ করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে বন্যার ¯্রােতে সেতুটি ভেসে যায়। এরপর থেকে চরবাসি কষ্ট করে চলাফেরা করছিল। ২০১৯ সালে এলজিইডি সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে।
বেলকা চরের ব্যবসায়ী মফিদুল হক মন্ডল জানান, নির্মাণ কাজ হচ্ছে তবে ধীরগতিতে। আমরা চরবাসি আগামী বন্যা মৌসুমের আগে নির্মাণ কাজের শেষ দেখতে চাই।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, নদীতে পানি থাকার কারণে বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। তিনি বলেন সেতুর পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে, পিলারের কাজ চলছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। আশা করছি অতিদ্রæত কাজ শেষ হবে।