শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকায় শওকত মীর নামক এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ওই এলাকার বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নুরুল ইসলাম মাদবর নামক এক কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। এছাড়াও সোমবার ভুক্তভোগীরা ওই এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকায় শওকত মীর নামক এক প্রভাবশালী ওই এলাকার অনেক কৃষকের বিভিন্ন ফসলি জমি নানানভাবে নষ্ট করে চলছে। সে কখনও ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে। ফলে পার্শ্ববর্তী অন্য মালিকাধীন জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও জমির সীমনায় চওড়া করে বাঁধের মতো আইল তৈরি করে ওই আইলের ওপর বাঁশ, কলা ও মেহগণি সহ নানান প্রজাতির গাছ রোপন করছে। ফলে পার্শ্ববর্তী জমিতে ছায়া পড়ায় ও শেকড় অন্য জমিতে চলে যাওয়ায় জমির উর্বরতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে তাকে বারবার নিষেধ করার পরেও তিনি এসব করেছে। পরে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নুরুল ইসলাম মাদবর নামক এক কৃষক শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। এছাড়াও সোমবার ভুক্তভোগীরা ওই এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। তাই তারা ন্যায় বিচারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী নুরুল ইসলাম মাদবর বলেন, এলাকার প্রভাবশালী শওকত মীর, তার ভাই শাহিন মীর ও রানা মীর গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ জমি দখলের উদ্দেশ্যে এলাকার বিভিন্ন জমির পাশে থাকা তাদের ফসলি জমিতে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে। এছাড়াও জমির সীমনায় চওড়া করে বাঁধের মতো আইল তৈরি করে নানা প্রজাতির গাছ লাগিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করছে। তাদের বারবার নিষেধ করার পরেও তারা এসব করেছে। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শওকত মীর বলেন, আমার জমি আমি ড্রেজার দিয়ে কেটে মাটি উত্তোলন করে ফসল ফলিয়েছি। আমি বিভিন্ন সবজির চাষ করবো। তবে এখন কাজ বন্ধ রেখেছি।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুর রহমান শেখ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন মাটি কাটা বন্ধ।