পাবনার
ফরিদপুরে জমি থেকে একটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার
সন্ধ্যায় উপজেলার হাদল ইউনিয়নের গোয়ালগাও মৌজার বরইচারা মাঠ থেকে এই
কঙ্কাল উদ্ধার করে ফরিদপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়দের ধারণা, কঙ্কালটি আড়াই
মাস আগে নিখোঁজ হওয়া হাদল গ্রামের আব্দুস সাত্তারের। আব্দুস সাত্তার হাদল
গ্রামের মৃত জিনাত প্রামাণিকের ছেলে। সে পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিল। তবে
পুলিশ কঙ্কালটির পরিচয়ের ব্যাপারে কোন কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস আগে হাদল মাদ্রাসা মোড়ের চায়ের
দোকান থেকে রাত্রে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সাত্তার নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায়
আব্দুস সাত্তারের পরিবার সে সময় থানায় একটি জিডি করেন। নিখোঁজের দেড় মাস
পর বরইচারা মাঠে আবদুস সাত্তারের লুঙ্গি পাওয়া যায়। তখন পরিবারের লোকজন
ওই স্থানের আশেপাশে আব্দুস সাত্তারের লাশ খোঁজাখুজি করেন। এর এক মাস পর
রবিবার দুপুরে বরইচারা মাঠে কচুরিপানা পরিষ্কার করার সময় একটি জমির মধ্যে
কঙ্কালটি পাওয়া যায়। তখন কঙ্কালটি আবদুস সাত্তারের বলে তার পরিবার দাবি
করেন।
আব্দুস
সাত্তারের ছেলে হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত দুয়েক বছরের মধ্যে হাদল বা তার
আশেপাশের গ্রামে কোনো হত্যা বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটেনি। তাই এই লাশটি তার
বাবার বলে তিনি দাবি করেন। তিনি
আরও বলেন, তিন মাস আগে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী হাসু
প্রামাণিক ও তার ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় তার বাবার। এর কয়েকদিন
পরেই তার বাবা নিখোঁজ হয়। এতে ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে তিনি তার বাবাকে
হত্যার অভিযোগ করেন।
ফরিদপুর
থানার ডিউটি অফিসার এসআই আরাফাত ইসলাম জানান, আড়াই মাস আগে হাদল গ্রামের
আব্দুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়। স্থানীয়দের ধারণা উদ্ধার
হওয়া কঙ্কালটি নিখোঁজ ব্যক্তির। তবে এ ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা
যাচ্ছে না। কঙ্কালটি ঢাকায় পাঠিয়ে ডিএনএ টেস্ট করার পরে এ বিষয়ে জানা
যাবে।