বিশ্বনাথে ১৭দিনেও মেলেনি নারীর লাশের পরিচয়

১৭দিনেও পরিচয় মেলেনি সিলেটের বিশ্বনাথে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারীর (৩০) লাশের। গত ১৫ নভেম্বর ওই নারীর লাশ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের আবদুল গফুরের বাড়ির পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ। লাশটি উদ্ধারের একদিন পর সিলেট মানিক পীর টিলায় দাফন করা হয়। এঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৫ নভেম্বর রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই নারী পরিচয় কিংবা হত্যার কোনো কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় ও হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত ওই নারী লাশের পরনে ছিল সবুজ রংয়ের কামিজ। লাশের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। ওই নারীকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে। লাশটি পুকুরের পানিতে থাকায় অর্ধগলিত ছিল।এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই লতিফ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। লাশের পরিচয় পাওয়া গেলেই হত্যার রহস্য বের হয়ে আসবে। তবে কেউ এ লাশের পরিচয় পেলে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য তিনি আহবান জানান।