বাংলাদেশের হয়ে এসএ গেমস খেলতে নেপাল গেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের মো. বিপ্লব ও কালাকান্দর গ্রামের মো. সুলতান। সেই সাথে এসএ গেমসের ‘খো খো’ খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন খুবজীপুরের আব্দুর রহিম স্যার। এখন স্বর্ণপদক জয়ের মধ্যদিয়ে চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুরের নাম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাক এই প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।
জানা যায়, তৃতীয় বারের মত এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের আয়োজন করেছে নেপাল। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় পর্দা উঠবে ত্রয়োদশ এ আসরের। ১৩তম এ আসরে ২৭ ডিসিপ্লিনে ৩২৪টি স্বর্ণপদকের জন্য লড়বেন সাত দেশের অ্যাথলেটরা। নেপালে অনুষ্ঠেয় এ আসরের ২৫টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে দশরথ রঙ্গশালায় প্রথমে প্রবেশ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। এরপরই আসবেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আয়োজক কমিটি তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবে। এরপরেই হবে তিন মিনিটের লেজার শো। সাত দেশের ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহনে মার্চপাস্ট পর্যবেক্ষণ করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। নেপাল অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট জীবন রাম শ্রেষ্ঠা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষণা দেবেন।
উদ্বোধনী ভাষন দেবেন দেশটির ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্য সচিব রমেশ কুমার সিলওয়াল। উপস্থিত থাকবেন ক্রীড়া মন্ত্রী জগত বাহাদুর বিশ্বকর্তা সুনার। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর উদ্বোধনী ভাষনের পরেই সাবেক চার তারকা অ্যাথলেট মশাল ব্যাটন নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন। সব শেষে মশাল প্রজ্জ্বলন করে এসএ গেমসে আলো জ্বালাবেন চারবারের সোনাজয়ী সাবেক তায়কোয়ান্ডোকা দীপক বিষ্ঠা। এরপর ক্রীড়াবিদদের পক্ষ থেকে শপথ বাক্য পাঠ করবেন নেপালের তারকা ক্রিকেটার পরেশ খাড়কা এবং কোচদের পক্ষ থেকে রেফারি দীপক থাপা।