পাবনার সুজানগরে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন মোঃ ওমর ফারুক ওরফে মিলন কুমার। ওমর ফারুক বলে আমার বাড়ীর চতুর্দিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর ও বসবাস হওয়ায় শৈশব কাল হতে মুসলমানদের বাড়ীতে আমার অবাধ উঠাবসা ও যাতায়াত থাকায় এবং ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে ও ধর্মীয় বই পুস্তক পড়ে ইসলাম ধর্মের প্রতি অকৃষ্ঠ হয়ে পড়ি এবং আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস জন্ম নেয়। তখন হতে আমি গোপনে গোপনে ইসলাম ধর্মের আচার আচারণ ও অনুষ্ঠানাদি পালন করতে থাকি। তিনি আরো বলেন আমি হিন্দু ধর্ম ও ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান ও আদর্শ তুলনামূলক ভাবে বিবেক বিবেচনা করে দেখলাম যে, দ্বীন-ই ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত শান্তির ধর্ম, তাই আমার নিকট ইসলাম ধর্মের আদর্শ ও রীতিনীতি ভালো লাগায় আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে গত ১৫ নভেম্বর জনৈক মাওলানা সাহেবের নিকট উপস্থিত হয়ে তাহার দ্বারা কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। সেই দিন থেকে আমার বর্তমান নাম মোঃ ওমর ফরুক। পরবর্তীতে পাবনা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে নোটারী পাবলিক বাংলাদেশ সম্পাদন করি, যাহার নাম্বার ১৫০৬, তারিখ-১৮-১১-১৯ইং। ওমর ফারুক পেশায় একজন নরসুন্দর (নাপিত)। তার দেশের বাড়ী ঝিনাইদহ সদর থানার পোড়াহাটি ইউনয়নের ভুপতিপুর গ্রামের শ্রী চন্ডি চন্দ্র দাসের ছেলে। বর্তমানে তিনি সুজানগর উপজেলার হাটমালিফা গ্রামে অবস্থান করছেন।