বিশ্বনাথে ২০বছরেও জুটেনি প্রতিবন্ধী ভাতা : দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জাহেদা

  জাহেদা আক্তার। বয়স ২০ বছর। জন্মের পর থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ডান পা তাঁর অচল। জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হয়েও দীর্ঘ সময়ে তার ভাগ্যে সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা জোটেনি। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক গ্রামের জহির আলীর মেয়ে ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। জাহেদা আক্তার প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জাহেদা আক্তারের বাবা-মা-দুই বোন, এক ভাইসহ ৬ সদস্যের পরিবার রয়েছে। কোনো মতে তাদের পরিবার চলে।(২১ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে দেখা হয় প্রতিবন্ধী জাহেদা আক্তারের সঙ্গে এসময় তিনি জানান, জন্ম থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেন। বর্তমানে তার বয়স ২০ বছর। কিন্তু এতদিন পরেও তিনি সরকার সহায়তা কিংবা প্রতিবন্দী ভাতা পাচ্ছেন না। তিন বছর আগে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগায় করে জমা দেন। তার কিছুদিন পর সেখানে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভাতা পাওয়ার কোনো আশ্বাস পাননি। তবে গত কয়েক মাস আগে প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছেন। কিন্তু এখনও প্রতিবন্ধী ভাতার বই পাননি। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্নজনের কাছে এবং সরকারি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার আশা অনেকটা এখন ছেড়ে দিয়েছেন। তবে আমাদের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমাকে নতুন তালিকা এলে ভাতার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল আহমদ বলেন, গত বছরের দুটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছিলাম। সেগুলো দুইজন প্রতিবন্ধীকে দিয়েছি। তবে এবছর নতুন কার্ড পেলে তাকে (জাহেদা আক্তার) দেয়া হবে। তিনি প্রতিবন্ধী জাহেদা আক্তারকে এ আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান।রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এরকম কেউ আমার কাছে আসেননি। তবে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আসলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেব।উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আবদুল্লাহ আল জুবায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।