শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাসমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এখন যেভাবে এগোচ্ছে তাতে করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা এবং বরিশাল উপকূলের দিক দিয়ে আঘাত হানতে পারে। তবে এর গতিবেগ বা শক্তি সিডরের মতো হবে না। বুলবুলের কারণে বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, শক্তি সামর্থ্য যাই হোক না কেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে খুলনা, বরিশাল উপকূলসহ ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, অতীতে নভেম্বর মাসেই দু’টি প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে বিপর্যস্ত করে যায় বাংলাদেশকে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াল ‘ভোলা ঝড়’ এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর এমনই শক্তিশালী দু’টি ঘূর্ণিঝড় ছিল। ভোলা ঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং সিডরে প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক এলাকার ক্ষতি হয়।