জেডিসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা খেয়ে পালালেন মাদ্রাসা শিক্ষক ৬ দিনেও দায়ীদেরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়নি শিক্ষা অফিস

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রারাসা কেন্দ্রে আজিজ নামের এক পরীক্ষার্থী বয়স জালিয়াতি করে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা খেয়ে পালানোর ঘটনায় ৬ দিনেও দায়ীদেরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়নি শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন।এ ঘটনায় শুধু শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রারাসা কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান কে কারন দর্শানোর নোর্টিশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।কিন্ত রামশাকাজিপুর দাখিল মাদ্রারাসা থেকে বয়স গোপন করে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দিলেও সেই মাদ্ররাসা সুপার মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বাগমারার একডালা গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে আজিজ জেডিসি পরীক্ষা দিতে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর দাখিল মাদ্রারাসা থেকে রেজিষ্টেশন করেন। জেডিসি পরীক্ষায় রেজিষ্টেশন কার্ডে ওই পরীক্ষার্থীর বয়স ছিল ১ লা ডিসেম্বর ২০০৭ ।এ অনুযায়ী আজিজের বয়স দাড়ায় ১২ বছর ১ মাস।কিন্ত পরীক্ষার্থী আজিজের প্রকৃত বয়স যাচাইয়ে পাওয়া যায় ৩৫-৩৮ বছর।এ বয়স গোপন করে জেডিসি পরীক্ষা দিতে সুযোগ করে দিয়েছে রামশাকাজিপুর দাখিল মাদ্রারাসার সুপার মহিদুল ইসলাম বলে অভিযোগ উঠেছে।গত ২ নভেম্বর জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রারাসা কেন্দ্রে গেলে বিষয়টি কেন্দ্র সচিবের নজরে আনলে পরীক্ষার্থী আজিজ পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন জনপ্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবেশ করলো ও বয়স জালিয়াতি করে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তার জন্য শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রারাসা কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান কে কারণ দর্শানো নোর্টিশ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব-আল-রাব্বি। কিন্ত রামশাকাজিপুর দাখিল মাদ্রারাসা থেকে বয়স গোপন করে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দিলেও সেই মাদ্ররাসা সুপার মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এ বিষয়ে শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রারাসা কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান,পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে আমি পরীক্ষার বিষয়ে অফিস কক্ষে কাজ করছি এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ আমার অনুমতি না নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ১১১ নম্বর কক্ষে যায়।সেখানে বষয়স্ক চাপ দাড়িয়ালা এক ব্যাক্তি বয়স গোপন করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে এমন অভিযোগ আমাকে জানালে আমি ওই কক্ষে গিয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে খুঁজে পাইনি।আমি যাওয়ার আগেই সে পালিয়ে গেছে বলে জানতে পারি।ওই পরীক্ষার্থী রামশাকাজিপুর দাখিল মাদ্রারাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে।এ বিষয়ে ইউএনও স্যার আমাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল আমি সে বিষয়ে লিখিত জবাবও দিয়েছি।রামশাকাজিপুর দাখিল মাদ্রারসার সুপার মহিদুল ইসলাম জানান,আমাদের মাদ্রারসার শরীর চর্চা শিক্ষক ফজলুল হকের মাধ্যমে আমার কাছে আসে আমি তাকে জন্ম সনদ দেখে ভর্ত্তি করাই এবং জেডিসি পরীক্ষার রেজিষ্টেশন করার সুযোগ করে দিই।জেডিসি পরীক্ষায় রেজিষ্টেশনে তার জন্ম তারিখ ১লা ডিসেম্বর ২০০৭ অনুযায়ী তার বয়স হয় ১২ বছর ১ মাস।জন্ম সনদ দেখতে চাইলে সুপার মহিদুল ইসলাম দেখাতে পারেনি।তবে তিনি প্রকৃত বয়স ৩৫ উদ্ধে বলে স্বীকার করেন।এ ঘটনায় আমাকে কেউ আমাকে কিছু বলেনি।উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আবদুল্লাহ আনছারী জানান,জেডিসি পরীক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী ১১ থেকে ১৮ বছর বয়স পযন্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে।তবে তিনি এখনও অভিযুক্ত ওই মাদ্রারাসা সুপারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানিয়ে বলেন যেহেতু পরীক্ষা চলছে এখন সবাই ব্যস্ত জেডিসি পরীক্ষা শেষ হলে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান,জেডিসি পরীক্ষার্থীদের বসার পরিবেশ ঠিক আছে কিনা দেখতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করি এবং দেখি ১১১ নম্বর কক্ষে বয়সস্ক চাপ দাড়িয়ালা এক ব্যাক্তি পরীক্ষার প্রস্ততি নিচ্ছে আমি এসে কেন্দ্র সচিব কে জানিয়ে বের হয়ে আসি।উপজেলা চেয়ারম্যান আরোও জানান,এ আজিজ নওগাঁ থেকে ফাজিল পাস করে একটি মাদ্রারসায় শিক্ষকতা করতো।বয়স জালিয়াতি করে কি উদ্দ্যেশ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে তা তদন্ত করার দাবী জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব-আল-রাব্বি জানান,এঘটনায় কেন্দ্র সচিব কে শোকশ করা হয়েছে এবং বয়স জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে।